আজকাল ওয়েব ডেস্ক: ভারতীয় সংস্কৃতিতে যে কোনও শুভ অনুষ্ঠানে মেহেন্দি পরার চল রয়েছে। যা সৌভাগ্য ও সৌন্দর্যের প্রতীক বলে ধরা হয়। অন্যান্য অনুষ্ঠান তো বটেই, এদেশের বিয়ের অনুষ্ঠান মেহেন্দি ছাড়া ভাবাই যায় না। বিশেষত কনের হাতে পায়ে বিভিন্ন রকমের মেহেন্দি পরার রীতি রয়েছে। শুধু রীতিই নয়, ভারতে মেহেন্দি নিয়ে অনেক কথিত বিশ্বাসও রয়েছে। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন কেন মেহেন্দির রং সবুজ, নীল, হলুদ কিংবা গোলাপি না হয়ে শুধুই লাল হয়? আসুন তাহলে সেবিষয়েই জেনে নেওয়া যাক।

মেহেন্দির রং কেন লাল হয়, এই প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে রয়েছে বিজ্ঞানে। সহজে বলতে গেলে মেহেন্দি পাতায় একটি বিশেষ ধরনের রাসায়নিক রয়েছে যাকে লসন বলা হয়। যখন মেহেন্দি পাতার পেস্ট হাতে লাগানো হয় তখন লোশন হাতের ত্বকের প্রোটিনের সঙ্গে রাসানিকভাবে বিক্রিয়া করে। এই প্রতিক্রিয়ার কারণে হাতে মেহেন্দির রং লাল হয়ে ওঠে। কিন্তু অন্য রং না হয়ে শুধুই লাল হয় কেন? আসলে লসনের স্বাভাবিক রং কমলা থেকে গাঢ় বাদামী। যখন এটি ত্বকের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া করে তখন এর রং লাল বা গাঢ় বাদামী হয়ে যায়। মেহেন্দি লাগানোর সময় সবুজ, নীল, হলুদ বা গোলাপি রঙ তৈরি হয় না কারণ লসনের রাসায়নিক গঠন এই ধরনের রং তৈরি করতে পারে না।

মেহেন্দির পাতাই শুধু ব্যবহার করা হয়। মেহেন্দি যখন মাটিতে থাকে তখন এর পাতা থেকে লসন বেরিয়ে আসে। যা কেরাটিনের সংস্পর্ষে এসে লাল রং হয়ে যায়। আমাদের শরীরের ত্বক, নখ ও চুলে কেরাটিন প্রোটিন রয়েছে। আর সেই কারণেই অনেক দিন ত্বকে মেহেন্দির রং লাল থাকে। ঠিক একই কারণে চুলে হেনা লাগালেও স্বাভাবিকভাবেই হালকা বাদামী রং হয়। আবার তাপমাত্রাও উপরও মেহেন্দির রং-এর উপর প্রভাব ফেলে। যেমন যদি আপনার শরীরের তাপমাত্রা বেশি হয় তাহলে মেহেন্দির রংও গাঢ় হবে। একইভাবে তাপমাত্রা ঠান্ডা হলে মেহেন্দির রং হালকা হয়।