আজকাল ওয়েবডেস্ক: একদিনের পর টি-২০ সিরিজ জয় ভারতের। ফলাফল ৩-১। দীর্ঘদিন পর আবার 'চোকার্স' তকমা ফিরল প্রোটিয়া শিবিরে। ১২০ রানে ১ উইকেট থেকে ১৩৫ রানে ৫। এখানেই ঘুরে যায় ম্যাচের মোড়। এক ওভারে জোড়া উইকেট নিয়ে দলকে ম্যাচে ফেরান বরুণ চক্রবর্তী। তবে ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট আসে যশপ্রীত বুমরার হাত ধরে। একটা সময় ফোর্থ গিয়ারে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। কিন্তু কুইন্টন ডি কক আউট হতেই ম্যাচের রং বদলে যায়।

পরের ওভারেই হার্দিক ফেরান সেট হওয়া আরেক ব্যাটার ডেওয়াল্ড ব্রাভিসকে। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে প্রোটিয়াদের ব্যাটিং। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারের শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৩১ রান তোলে ভারত। জবাবে ২০ ওভারের শেষে ৮ উইকেটের বিনিময়ে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ২০১। ৩০ রানে জয় ভারতের। ৪ উইকেট নেন বরুণ চক্রবর্তী। শুরুতে রান দিলেও দারুণ প্রত্যাবর্তন করেন। জোড়া উইকেট যশপ্রীত বুমরার। 

টসের পর সূর্যকুমার যাদব জানিয়েছিলেন, আহমেদাবাদে শিশিরের তেমন সমস্যা হবে না। কিন্তু আদতে তেমন হয়নি। শিশিরের সমস্যা এড়াতে শুরুতেই ওয়াশিংটন সুন্দরের হাতে বল তুলে দেন সূর্য। তবে শুরুটা ঝড়ের গতিতে রান করেন কুইন্টন ডি কক। রেজা হেন্দ্রিকসকে নিয়ে প্রথম উইকেটে ৬৯ রান যোগ করেন। দ্বিতীয় উইকেটে তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দেন ডেওয়াল্ড ব্রেভিস। দ্বিতীয় উইকেটে ৫১ রান যোগ করে এই জুটি। দুই প্রোটিয়া ব্যাটারকেই বিধ্বংসী মেজাজে পাওয়া যায়। ১০ ওভারের শেষে ১ উইকেট হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ছিল ১১৮। কিন্তু তারপর থেকেই পতন শুরু। 

ব্যাক টু ব্যাক ওভারে কুইন্টন এবং ব্রেভিসের আউট ভারতকে ম্যাচে ফেরায়। ৩৫ বলে ৬৫ রান করেন ডি কক। ইনিংসে ছিল ৩টি ছয়, ৯টি চার। ১৭ বলে ৩১ রান করেন ব্রেভিস। দু'জন ফিরতেই ম্যাচ থেকে হারিয়ে যায় মার্করামরা।আহমেদাবাদের উইকেট ব্যাটিং সহায়ক ছিল। তবে অতিরিক্ত আগ্রাসী হতে গিয়ে মাঝপথে খেই হারিয়ে ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকা। পরিকল্পিত ব্যাটিংয়ের অভাব। শিশিরের মধ্যে বল করা সহজ ছিল না। কিন্তু ভারতীয় বোলারদের কিছুটা সাহায্য করে প্রোটিয়া ব্যাটাররা। বেহিসেবী শট খেলে উইকেট ছুড়ে দেয়। আসল সময় পার্টনারশিপ ভাঙেন বুমরা। 

টসে জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠান মার্করাম। তার পূর্ণ ফায়দা তোলে টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটাররা। বিশেষ করে হার্দিক পাণ্ডিয়া এবং তিলক বর্মা। দু'জনেই অর্ধশতরান করেন। মোদির রাজ্যে ঝড় তোলেন হার্দিক। মাত্র ১৬ বলে ৫০ রানে পৌঁছে যান। করেন নতুন রেকর্ড। যুবরাজ সিংয়ের পর দ্বিতীয় ভারতীয় ব্যাটার হিসেবে টি-২০ ক্রিকেটে দ্রুততম অর্ধশতরান। ২৫ বলে ৬৩ রান করে আউট হন হার্দিক। ইনিংসে ছিল পাঁচটি ছয় এবং চার। ৪২ বলে ৭৩ রান করে ফেরেন তিলক। ইনিংসে ছিল একটি ছয় এবং ১০টি চার। এদিন শুভমন গিলের জায়গায় সুযোগ পান সঞ্জু স্যামসন। ওপেনিং জুটিতে ৬৩ রান যোগ করে ভারত। সঞ্জু করেন ৩৭ রান, অভিষেক ৩৪। একমাত্র সূর্যকুমার ছাড়া প্রত্যেক ভারতীয় ব্যাটার রান পায়। খারাপ ফর্ম অব্যাহত ভারত অধিনায়কের। মাত্র ৫ রানে আউট হন। টি-২০ বিশ্বকাপের আগে যা চিন্তা বাড়াচ্ছে।