আজকাল ওয়েবডেস্ক: মাতৃত্বের অনেক ধাপ থাকে। ন’ মাস শিশুকে শরীরে লালন পালন করার আগ থেকেই শুরু হয়ে যায় মাতৃত্বের নানা প্রস্তুতি। বিশেষ করে বর্তমান যুগের জীবনযাত্রায় যেখানে ক্রমশ বন্ধ্যাত্বের সমস্যা বাড়ছে, সেখানে মা হওয়ার পরিকল্পনার সঙ্গেই মহিলাদের বেশ কিছু বিষয় নজর রাখা খুবই জরুরি। যার মধ্যে অন্যতম ডায়েট। শরীরের প্রজননক্ষমতা বাড়াতে পারে এমন খাবার রাখতে হবে রোজের পাতে। তাহলে সন্তানধারণের জন্য কোন কোন খাবার নিয়মিত খাবেন, জেনে নিন- 

১. প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার- গর্ভাবস্থায় প্রোটিনের চাহিদা অনেকটাই বাড়ে। কারণ, এই ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্টের সাহায্যেই গর্ভস্থ সন্তানের বিকাশ ও বৃদ্ধি হয়। পুষ্টিবিদরা নিয়মিত মাছ, মুরগির মাংস, ডিম, ডাল জাতীয় বিভিন্ন প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন। এই ধরনের খাবার শরীরে হরমোনের ভারসাম্য, রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখে। যা গর্ভাবস্থায় অত্যন্ত জরুরি।

২. ওমেগা থ্রি- বিভিন্ন বাদাম ও বীজ, বিশেষত আখরোট ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের খুব ভাল উৎস। এটি প্রদাহ কমাতে এবং জরায়ুতে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে। ওটমিল, স্যালাড, স্মুদিতে বাদাম ও বীজ দিয়ে খেতে পারেন। 

৩. অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ ফল- সন্তানধারণের জন্য যথেষ্ট পরিমাণে ফল খান। বেরি ও আঙুরে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান। যা প্রজনন ক্ষমতা বাড়ায়, সার্বিকভাবে স্বাস্থ্য ভাল রাখে। এছাড়াও বেদানা, কমলালেবু, কিউয়ি, আমলকি, পেয়ারা এবং স্ট্রবেরির মতো রসালো ফল খেতে পারেন। 

৪. শাকসবজি- ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ভিটামিন বি ১২, ফলিক অ্যাসিড, আয়রনের ভাল উৎস শাকসবজি। এই সব উপাদানই বন্ধ্যাত্বের সমস্যা দূর করে। এছাড়া ভরপুর মাত্রায় রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ফাইবার। তাই যতটা সম্ভব শাকসবজি খাওয়ার চেষ্টা করুন। 

৫. অ্যাভোকাডো- পটাশিয়াম, ফোলেট এবং ভিটামিন কে বেশি থাকে অ্যাভোকাডোতে। যা আপনার শরীরকে অন্যান্য ভিটামিনগুলিকেও সঠিকভাবে শোষণ করতে সহায়তা করে। এছাড়া অ্যাভোকাডো ভিটামিন ই-র একটি ভাল উৎস, যা প্রজনন ক্ষমতা বাড়ায়।