আজকাল ওয়েবডেস্ক: রাতে ঘুমোনোর সময়ে হেডফোনে গান না শুনলে ঘুম আসে না। একঘেয়ে কাজের অবসাদ কাটাতেও ইয়ারফোন ভরসা। আজকাল বাসে-ট্রামে সর্বত্র বেশিরভাগ মানুষের মধ্যেই যা লক্ষ্য করা যায় তা হল কানে হেডফোন। আর এই অভ্যাস যে ভাল নয়, তাও মোটামুটি সকলেরই জানা। কিন্তু অতিরিক্ত হেডফোনের ব্যবহারে কি শুধু কানের ক্ষতি হয়? নাকি হতে পারে আরও অনেক সমস্যা? সম্প্রতি এই নিয়ে গবেষণায় উঠে এসেছে নয়া তথ্য।
গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, বেশিরভাগ মানুষই হেডফোনে ১০৫ ডেসিবেলের কাছাকাছি ভলিউমে গান শোনেন। যা স্বাভাবিক ভলিউমের থেকে অনেকটাই বেশি। অতিরিক্ত হেডফোন ব্যবহারের ফলে হারাতে হতে পারে শ্রবণশক্তি। এমনকী দেখা গেছে, হেডফোন ব্যবহারের কারণে অত্যধিক কোলাহল পূর্ণ জায়গায় কথা শোনার ক্ষমতা হারাতে পারেন। দীর্ঘক্ষণ কারও কথা শুনতে শুনতে একটা সময়ের পর আর শোনার ক্ষমতাও কমে যায়।
গবেষকরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা হেডফোন ব্যবহার করলে কান সংবেদনশীল হয়ে যেতে পারে। ভবিষ্যতে জোর আওয়াজ কান পর্যন্ত নাও পৌঁছতে পারে। একইসঙ্গে দূরের ভেঙে-ভেঙে কানে পৌঁছতে পারে আওয়াজ। কানের ভিতর সমানে কিছু একটা বেজে চলেছে এমনটা মনে হতে পারে। হেডফোন ইলেকট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ তৈরি করে যা মাথার জন্য খুবই ক্ষতিকর। ইয়ারফোন নোংরা হয়ে গেলে তা থেকে ইনফেকশন হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে।
বিপদ এড়াতে হেডফোনের ভলিউম ৬০ ডেসিবেলের উপর বাড়ানো উচিত নয়। ইয়ারফোন যেন কানের ভিতর পর্যন্ত ঢুকে না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। একইসঙ্গে একটানা হেডফোন ব্যবহার না করে মাঝে-মাঝে বিরতি নিন। সেক্ষেত্রে ৩০ মিনিট হেডফোন ব্যবহার করার পর ৫ মিনিটের বিরতি নিন।
