আজকাল ওয়েব ডেস্ক: ভাল ব্র্যান্ডের শ্যাম্পু দিয়ে নিয়ম করে চুল পরিষ্কার করছেন, তবুও চুল ঝরে যাচ্ছে? মাথায় টাক পড়ে যাবার জোগাড়? সঙ্গে রয়েছে খুশকির সমস্যাও? চুলে থাকা খুশকিকে মোটেও হালকা ভাবে নেবেন না। সামান্য একটু খুশকি থেকেই চুল পড়ার পরিমাণ মারাত্মক হারে বেড়ে যেতে পারে।
মাথায় খুশকির সমস্যা থাকলে সারা বছরই তার জন্য চুল পড়া চলতে থাকে। খুশকি দূর করার শ্যাম্পু ব্যবহার করে এই সমস্যা থেকে সাময়িক রেহাই মিললেও তা পুরোপুরি নির্মূল হয় না। ফলে সব দোষ পড়ে গিয়ে চুলের প্রসাধনীর উপর।
মাথার ত্বককে সুস্থ রাখতে গেলে শুধু শ্যাম্পু করাই যথেষ্ট নয়। দিতে হবে তেলও।
ত্বকের পাশাপাশি চুলের যত্ন নিতে চুলকে পুষ্টি দেওয়াও ভীষণ জরুরি। সেই পুষ্টি রয়েছে তেলে। তবে এখন অনেকেই চুলে তেল মাখতে চান না। শ্যাম্পু, স্পা, কন্ডিশনিং করার প্রতি ঝোঁকটাই এখন বেশি। আবার চুলে তেল মালিশের পর শ্যাম্পু করতে সময়ও লাগে প্রচুর। সেই কারণে অনেকেই চুলের যত্নের তালিকায় মাথার তেলের ব্যবহারকে বাদ রাখেন। কিন্তু চুলের ডগা ফেটে যাওয়া বা চুল ঝরার সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে তেল কিন্তু মাখতেই হবে! তবে বাজার চলতি তেল চুলে ব্যবহার করলে কতটা উপকার পাওয়া যাবে, তা নিশ্চিত করে বলা খুব কঠিন।
চুলের যাবতীয় সমস্যা দূর করতে তাহলে কোন তেল ব্যবহার করবেন? বাইরের কোনও তেলের ওপর ভরসা না রেখে নিজের চুলের যত্নের জন্য নিজেই উদ্যোগী হন।
চুল ও চুলের ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য নারকেল তেলের উপকারিতা ও চাহিদা সবচেয়ে বেশি। প্যানে প্রয়োজনের থেকে একটু বেশি নারকেল তেল নিন। সামান্য গরম হতে শুরু করলে এতে সাত আটটি টুকরো করে কাটা আমলকী ও বেশ কিছু কারিপাতা ফেলে দিন। খানিকক্ষণ তা ফুটিয়ে তাতে দু'চামচ কালো জিরে ও মেথি দিয়ে দিন। ফের বেশ খানিকটা ফুটিয়ে নিন। তেল ফুটে ঘন হয়ে এলে একটু ফেনার মতো তৈরি হবে। সেইমুহূর্তে উনুনের আঁচ বন্ধ করে দিন। তারপর বেশ কিছু টাটকা জবা ফুল ওই তেলে দিয়ে নেড়ে প্যানটা ঢেকে রাখুন। আধঘন্টা পর তেলটি ছেঁকে নিয়ে একটি পাত্রে ঢেলে রাখুন। এই তেলটি ছয় মাস পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারেন।
চুল ও চুলের ত্বকে সপ্তাহে চার-পাঁচ দিন এই তেল ব্যবহার করুন। আধঘন্টা রেখে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। খুশকি দূর হয়ে চুল প্রান ফিরে পাবে। চুল পড়া
রোধে এই তেল এককথায় ভীষণ কার্যকরী।
