আজকাল ওয়েবডেস্ক: আসন্ন বিজয় হাজারে ট্রফির জন্য মুম্বই দলে নাম নেই প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা, ভারতের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব, ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল এবং অলরাউন্ডার শিভম দুবের।
জানা গিয়েছে, এই চার ভারতীয় তারকার নাম না থাকলেও সুযোগ পেলে তাঁরা দলে যোগ দেবেন। প্রাথমিক স্কোয়াডে নাম না থাকলেও এর অর্থ এই নয় যে তাঁরা সবাই একদিনের এই প্রতিযোগিতা মিস করবেন।
২৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে চলা টুর্নামেন্টে তাঁদের শিডিউল অনুযায়ী মুম্বই দলে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। বিজয় হাজারে ট্রফিতে মুম্বই দলকে নেতৃত্ব দেবেন নির্ভরযোগ্য অলরাউন্ডার শার্দুল ঠাকুর।
শুক্রবার দল ঘোষণার পর টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমসিএ-র সিনিয়র নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান সঞ্জয় পাতিল বলেন, ‘এই সব ভারতীয় ক্রিকেটার যখন উপলব্ধ থাকবেন, তখন তাঁদের মুম্বই দলে জায়গা দেওয়া হবে। যদি তাঁরা উপলব্ধ না থাকেন, তাহলে তাঁদের নাম দলে রাখা ঠিক নয়। এটা করলে কোনও তরুণ ক্রিকেটারকে দল থেকে বাদ দিতে হবে।’
নির্বাচন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক দিলীপ বেঙ্গসরকর, যিনি বর্তমানে এমসিএ-র পুরুষ ক্রিকেট দলের উপদেষ্টা।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ভারতের পরবর্তী আন্তর্জাতিক সিরিজ শুরু হবে ২০২৬ সালের ১১ জানুয়ারি থেকে, নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে।
সম্প্রতি বিসিসিআই নির্দেশ দিয়েছে, ভারতীয় দলের যেসব ক্রিকেটার চোটগ্রস্ত নন বা সেন্টার অব এক্সেলেন্সে (সিওই) রিহ্যাবে নেই, তাঁদের জন্য বিজয় হাজারে ট্রফিতে খেলা বাধ্যতামূলক।
জানা গিয়েছে, প্রাক্তন ভারত ও মুম্বই অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে টুর্নামেন্টের লিগ পর্বের প্রথম কয়েকটি ম্যাচে বিশ্রাম চেয়েছেন। পাতিল জানান, ‘রাহানের হ্যামস্ট্রিংয়ে সমস্যা রয়েছে।
তিনি বিশ্রাম নিয়ে সুস্থ হয়ে উঠবেন এবং প্রথম দু’টি ম্যাচের পর মুম্বই দলে যোগ দেবেন।’ বিজয় হাজারে ট্রফির গ্রুপ পর্ব অনুষ্ঠিত হবে ২৪ ডিসেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।
মুম্বইকে রাখা হয়েছে এলিট গ্রুপ ‘সি’-তে। এই গ্রুপে মুম্বইয়ের সঙ্গে রয়েছে সিকিম, উত্তরাখণ্ড, ছত্তিশগড়, হিমাচল প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব ও গোয়া। মুম্বই তাদের সব ম্যাচ খেলবে জয়পুরে।
নির্বাচকেরা ওপেনার ঈশান মুলচন্দানিকে প্রথমবারের মতো দলে ডাক দিয়েছেন। অন্যদিকে, টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সরফরাজ খান মুম্বই দলে রয়েছেন।
সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে তিনি সাত ম্যাচে ৩২৯ রান করেন যার মধ্যে রয়েছে তিনটি অর্ধশতরান ও একটি শতরান। তবে মুম্বই সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির শিরোপা ধরে রাখতে পারেনি মুম্বই।
সুপার লিগ পর্বের পরেই বিদায় নিতে হয়েছে তাদের। তবুও দলের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট সঞ্জয় পাতিল। তিনি বলেন, ‘আমরা ১০টির মধ্যে ৮টি ম্যাচ জিতেছি, যা প্রমাণ করে দল ভাল ক্রিকেট খেলেছে। সবাই ভাল পারফর্ম করেছে, বিশেষ করে সরফরাজ খান। দুর্ভাগ্যজনকভাবে নেট রান রেটের কারণে আমাদের ভুগতে হয়েছে।’ সুপার লিগে মুম্বই তিন ম্যাচের মধ্যে দু’টি জিতলেও, অন্য দলগুলোর তুলনায় নেট রান রেট কম থাকায় তারা ছিটকে যায়।
