আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটে ডামাডোল। নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে টেস্ট চলছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। এর মধ্যেই বিতর্ক কিউয়ি ক্রিকেটে। শুক্রবার ইস্তফা দিয়ে বসলেন নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের চিফ এক্সিকিউটিভ স্কট উইনইঙ্ক। দেশে টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে ক্রিকেটার এবং তাঁদের সংগঠনের সঙ্গে দীর্ঘ বিরোধের জন্যই ইস্তফার সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন উইনইঙ্ক।


এটা ঘটনা, নিউজিল্যান্ডের ঘরোয়া টি–টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা সুপার স্ম্যাশের পরিবর্তে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ শুরুর প্রস্তাব দিয়েছিল ক্রিকেটারদের সংগঠন। ক্রিকেটারদের সংগঠনের প্রস্তাব ছিল, নতুন লিগের নাম হোক এনজেড ২০। দাবি ছিল, এই লিগ শুরু হলে বিদেশি ক্রিকেটার এবং বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করে নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেট বোর্ডের আর্থিক হাল ফিরবে। আইপিএলের একাধিক দলের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে প্রাথমিকভাবে কথাবার্তাও বলেছিল ক্রিকেটারদের সংগঠন। এটা ঘটনা, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) পূর্ণ সদস্য দেশগুলির মধ্যে একমাত্র নিউজিল্যান্ডেই কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি টি–টোয়েন্টি লিগ হয় না। নতুন লিগ নিয়ে নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটাররা এবং তাঁদের সংগঠন অত্যন্ত উৎসাহী ছিল।


কিন্তু নতুন প্রতিযোগিতার পক্ষে ছিলেন না উইনইঙ্ক। তিনি নিউজিল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেট কাঠামো বদলের পক্ষে একেবারেই ছিলেন না। অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগে নিউজিল্যান্ডের একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি যুক্ত করে আর্থিক সমস্যা সমাধানের পক্ষে মত দেন তিনি। যা নিয়ে ক্রিকেটারদের সঙ্গে তাঁর বিরোধ তৈরি হয়।
এরপরেই শুক্রবারের ইস্তফা।

এদিকে, ইস্তফা দিয়ে উইনইঙ্ক বলেছেন, ‘ভেবেচিন্তেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ক্রিকেটার এবং তাঁদের সংগঠনের সঙ্গে আমার ভাবনার মিল হচ্ছিল না। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ আমাদের সকলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। পার্থক্য নিয়ে এগোনো যায় না। আমার মনে হয়েছে, নতুন নেতৃত্বের দায়িত্ব নেওয়ার এটাই সঠিক সময়। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের স্বার্থেই ইস্তফা দিয়েছি। দুর্দান্ত কিছু অভিজ্ঞতা নিয়ে সরে যাচ্ছি। আমার কার্যকালে যতটা সম্ভব দেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। কিছু ক্ষেত্রে যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে হয়ত হয়নি। তবে বিশ্বাস করি, আগামী দিনে যাঁরা দায়িত্ব নেবেন তাঁরা নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটকে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।’ প্রসঙ্গত, দু’বছরেরও বেশি সময় নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের প্রধান ছিলেন উইনইঙ্ক।


এটা ঘটনা, নতুন টি–টোয়েন্টি লিগের সমর্থনে কয়েক দিন আগে মুখ খুলেছিলেন নিউজিল্যান্ডের টেস্ট অধিনায়ক টম লাথাম। উইনইঙ্কের উদ্দেশে তিনি বলেছিলেন, ‘আশা করি, আপনি প্রস্তাবিত এনজেড ২০ নিয়ে ভাববেন। আমি মনে করি এটা দারুণ পরিকল্পনা। এই প্রতিযোগিতা নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটকে অনেক কিছু দিতে পারে। আন্তর্জাতিক স্তরের ক্রিকেটাররা খেলতে এলে নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটের মানও বৃদ্ধি পাবে।’ লাথামকে সমর্থন করেছিলেন সাদা বলের ক্রিকেটের অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনারও। কিন্তু এক দিন পরেই ইস্তফা দিয়ে দিলেন উইনইঙ্ক। টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উইনইঙ্কের ইস্তফা দলের উপর না কোনও প্রভাব ফেলে।