মশলা দিয়ে মাখা ঝাল আলু। সেই পুর সহ ফুচকা তেতুঁল জলে দিয়ে মুখে দিলেই গলে যায় মন। আট থেকে আশি, এই স্বর্গীয় স্বাদ উপভোগ করেন না এমন মানুষ কমই রয়েছেন। ফুচকা ছাড়াও  ঘুগনি কিংবা আলুকাবলির সঙ্গেও তেতুঁল জলের বেশ কদর। শুধু স্বাদে নয়, স্বাস্থ্যগুণেও অতুলনীয় তেতুঁল জল। তবে ফুচকার জলের মতো সেই জলে মেশানো যাবে না নানা মশলা, নুন, লঙ্কাগুঁড়ো। কেবল তেতুঁল গোলা জলেই মিলবে স্বাস্থ্যের উপকারিতা।   

•    তেতুঁল জলে মাত্র ৫-৬ ক্যালোরি থাকে। এতে চিনি বা মিষ্টি যোগ না করলে ক্যালোরি বাড়ার আশঙ্কাও থাকে না। একইসঙ্গে মেটাবলিজম বাড়াতে তেতুঁল জলের ভূমিকা রয়েছে। তেতুঁল জলের প্রচুর ফাইবার থাকায় দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি থাকে। তাই ওজন কমাতেও সাহায্য করে এই টক জল। 


* রোদ থেকে এসে তেঁতুলের টক-মিষ্টি সরবত খেতে পারেন, আরাম পাবেন। স্কার্ভি রোগের প্রতিরোধে তেঁতুল অত্যন্ত কার্যকরী। ঋতু পরিবর্তনের সময়ে ঠান্ডা লাগা বা সর্দিকাশি থেকে সর্দিকাশি থেকে রেহাই পেতে গোলমরিচ মেশানো তেঁতুলের পানীয় উষ্ণ করে খান। দারুণ উপকার পাবেন। 


•    নিয়মিত তেঁতুলের জল খেলে এটি শরীর থেকে টক্সিন বার করে দেয়। শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বার হয়ে যাওয়ায় লিভারের স্বাস্থ্য ভাল থাকে। 


* তেঁতুলের মধ্যে থাকা অ্যাসকরবিক অ্যাসিড, যা খাবার থেকে আয়রন সংগ্রহ করে বিভিন্ন কোষে তা পরিবহণ করে, এটি মস্তিষ্কের জন্য খুব দরকার। আয়রনের সঠিক পরিমাণ মস্তিষ্কে পৌঁছলে চিন্তা ভাবনার গতি আগের থেকে অনেক বেশি বেড়ে যায়। 


•    তেঁতুলে রয়েছে টারটারিক অ্যাসিড। আপাতভাবে এই অ্যাসিড শরীরে অম্লত্বের ভাব বাড়িয়ে তুলতে পারে বলে মনে হলেও পুষ্টিবিদদের মতে, পরিমিত পরিমাণে তেতুঁল জল হজমে সাহায্য করে, পেট ফাঁপা কমায়। টারটারিক অ্যাসিড অ্যান্টিঅক্সিডেন্টেরও কাজ করে।

* তেঁতুলে থাকা নির্দিষ্ট কিছু প্রোটিন কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। তেঁতুলের পটাশিয়াম এবং আয়রন ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। তেঁতুল, শরীরে অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধের কাজে বাঁধা তৈরি করে থাকে।  আয়ুর্বেদে তেঁতুল পাতা ডায়েরিয়া সারাতে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া তেঁতুল গাছের ছাল এবং শিকড় পেটের ব্যথা সারাতে ব্যবহার করা হয়।


•    ত্বকের জেল্লা বাড়াতেও সহায়ক তেতুঁল জল। এই পানীয় ব্রণ কমাতে, মুখের কালো দাগ দূর করতে করে এবং ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।