আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভাল ঘুমের জন্য শুধু আরামদায়ক বিছানাই যথেষ্ট নয়, শয়নকক্ষের তাপমাত্রাও বড় ফ্যাক্টর। অন্তত তেমনই দেখা গিয়েছে সাম্প্রতিক বিভিন্ন গবেষণায়। দেখা গিয়েছে, গরম ও আর্দ্র পরিবেশে ঘুম না হওয়া বা মাঝরাতে ঘন ঘন ঘুম ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই বেড়ে যায়। তার বিপরীতে, তুলনামূলক ঠান্ডা ঘরে শোওয়া শরীর ও মস্তিষ্ক—উভয়ের পক্ষেই অনেক বেশি উপকারী।
ঘুমের আদর্শ তাপমাত্রা কত হওয়া উচিত?
বিশেষজ্ঞদের মতে, রাতে ঘুমানোর সময় ঘরের আদর্শ তাপমাত্রা হওয়া উচিত ১৬ থেকে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। এই তাপমাত্রায় আমাদের শরীরের নিজস্ব তাপমাত্রা স্বাভাবিকভাবে কিছুটা কমে যায়, যা মস্তিষ্ককে ‘ঘুমের সিগন্যাল’ পাঠায় এবং গভীর ঘুমে সহায়তা করে।
ঠান্ডা ঘরে ঘুমোলে কী উপকার হয়?
১. ঘুমের গুণমান উন্নত হয়
ঠান্ডা ঘরে শোওয়ার ফলে শরীরের মেলাটোনিন নিঃসরণ বেড়ে যায়। এই হরমোন ঘুমকে গভীর করে এবং অনিদ্রার সমস্যা কমায়।
২. বয়ঃজনিত বার্ধক্য ধীরে আসে
মেলাটোনিন শুধু ঘুমই বাড়ায় না, এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টও। ঠান্ডা ঘরে ঘুমালে এর নিঃসরণ বেশি হওয়ায় কোষের ক্ষয় কমে এবং ত্বক সতেজ থাকে।
৩. ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
২০১৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ’-এর এক গবেষণায় বলা হয়, ঠান্ডা ঘরে নিয়মিত ঘুমোলে ব্রাউন ফ্যাট বা 'সুস্থ চর্বি' তৈরি হয়, ফলে খারাপ ফ্যাটের দহন বাড়ে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৪. ডায়বেটিসের ঝুঁকি কমায়
শীতল পরিবেশে ঘুমোলে ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ে বলে জানিয়েছেন নিউ ইয়র্কের কিছু এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট। অর্থাৎ ঠান্ডা ঘরে ঘুমালে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৫. মানসিক চাপ কমে
ঠান্ডা পরিবেশে ঘুম মনকে শান্ত করে। ঠান্ডায় কর্টিসল নামের স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা কমে যায়,
সতর্কতা
তবে অতিরিক্ত ঠান্ডা ঘরেও না শোওয়াই ভাল। তাতে ঠান্ডা লাগা, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া বা সিওপিডি রোগীদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা বাড়তে পারে। তাই এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করলেও তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রির নিচে নামানো উচিত নয়।
