আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রকৃতির খেলা বড়ই বিচিত্র। উদ্ভিদ হোক বা প্রাণী, বিভিন্নতায় কোনও খামতি নেই জীবজগতে। আরও আশ্চর্যের বিষয় হল সভ্যতার কিংবা বিজ্ঞানের এমন প্রভূত উন্নতির পরেও আমরা বিপুল এই পৃথিবীর সম্পর্কে অল্পই জানি। এখনও বিজ্ঞানীরা মেতে ওঠেন নিত্যনতুন আবিষ্কারের নেশায়। কিছুটা তার সঙ্গে তাল মিলিয়েই সম্প্রতি খোঁজ পাওয়া গেল এমন এক কাঁকড়ার, যায় রং দেখলে চমকে উঠতে হয়।
আরও পড়ুন: পুরুষের ওই বিশেষ লোমে কুকুরের থেকেও বেশি জীবাণু থাকে! ঠিকভাবে পরিষ্কার করবেন কীভাবে? জেনে নিন ৬ টিপস

থাইল্যান্ডের নিরক্ষীয় অঞ্চলে খোঁজ পাওয়া গেল অতি বিরল এক উজ্জ্বল বেগুনি রঙের কাঁকড়ার। থাইল্যান্ডের কায়েং ক্রাচেং জাতীয় উদ্যানে খোঁজ পাওয়া গিয়েছে এই বিশেষ কাঁকড়ার। উদ্যান কর্তৃপক্ষের দাবি, পর্যটন মরশুম শেষ হওয়ার ঠিক আগেই উদ্যানের প্যানোয়েন থাং চেকপয়েন্টের কাছে এই কাঁকড়ার দেখা মেলে।। উদ্যান কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে আরও দাবি করা হয়েছে, এই প্রজাতির কাঁকড়ার মধ্যে এহেন উজ্জ্বল বেগুনি রং দেখা যায় না। উদ্যানের পক্ষ থেকে এই কাঁকড়ার নাম রাখা হয়েছে ‘সিরিনধ্রন’। স্থানীয় ভাষায় এই শব্দের অর্থ রাজকুমারী। রাজকুমারী মহা চাকরি সিরিনধ্রন-এর নাম অনুযায়ী নামকরণ করা হয়েছে এই কাঁকড়ার।
আরও পড়ুন: পুরুষের ওই বিশেষ লোমে কুকুরের থেকেও বেশি জীবাণু থাকে! ঠিকভাবে পরিষ্কার করবেন কীভাবে? জেনে নিন ৬ টিপস

উদ্যান কর্তৃপক্ষের ভাষায় এই কাঁকড়া ‘প্রকৃতির এক অমূল্য দান’। সবুজ অরণ্যের ব্যাকড্রপে এই উজ্জ্বল বেগুনি রং এতই বিরল যে একবার দেখে মনে হতে পারে চলমান কোনও উজ্জ্বল রত্ন। পূর্ণবয়স্ক কাঁকড়ার খোলস মাত্র এক ইঞ্চি চওড়া। জীববিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই কাঁকড়া আসলে পান্ডা ক্র্যাব বা লেপিডোথেলফিউসা কগনেটি-র জাতভাই। এই পান্ডা ক্র্যাব জল এবং স্থল উভয় স্থানেই বসবাস করে। কিন্তু সেগুলির রং হয় সাদা-কালো।

প্রসঙ্গত, পান্ডা ক্র্যাব অত্যন্ত বিরল। ১৯৮০ সালে প্রথম থাইল্যান্ডে এই ধরনের কাঁকড়া আবিষ্কৃত হয়। তাই সেই পান্ডা কাঁকড়ার এই তুতোভাইদের বিরল থেকে বিরলতম বলেই মনে করছেন জীববিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের দাবি, এই নতুন আবিষ্কৃত কাঁকড়ার জীবনচক্রের সম্বন্ধে প্রায় কিছুই জানা যায়নি এখনও।

কায়েং ক্রাচেং জাতীয় উদ্যান ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটগুলির মধ্যে অন্যতম। এই নিরক্ষীয় বনাঞ্চলে চিতাবাঘ থেকে ভল্লুক, কাঁকড়া থেকে শঙ্খচূড় সাপ - বিপুল পরিমাণ জীববৈচিত্র দেখতে পাওয়া যায়। তার মধ্যে নবতম সংযোজন এই বিরল বেগুনি কাঁকড়া। উদ্যান কর্তৃপক্ষের দাবি, এহেন নতুন একটি জীব আবিষ্কার উদ্যানের বৈচিত্র্যময় পরিবেশকেই নতুন করে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরল। ভবিষ্যতে এই উদ্যান এবং তার জীববৈচিত্র্যকে ধরে রাখার জন্য সরকার আরও উদ্যোগী হবে বলেও দাবি করা হয়েছে।