সোমবার রাত থেকে টানা বৃষ্টিতে ভাসছে শহর কলকাতা। উত্তর, মধ্য, দক্ষিণ কলকাতা একপ্রকার জলের তলায়।জলমগ্ন পরিস্থিতিতে বিপর্যস্ত জীবন। সকাল থেকেই জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একের পর দুর্ঘটনার খবর সামনে আসছে। নোংরা জল জল পেরিয়ে গন্তব্যস্থলে যেতে হলে সংক্রমণেরও আশঙ্কা থাকে। জমা জলে পা দিয়ে চুলকুনি, ব়্যাশে ভুগতে পারেন। আঙুলের ফাঁকে ঘা বা ফাঙ্গাল ইনফেকশন পর্যন্ত হতে পারে। উৎসবের মরশুমে কীভাবে সংক্রণ থেকে রক্ষা পাবেন, জেনে নিন-

•    পায়ের মধ্যে জীবাণু বাসা বাঁধলে একজিমা, ঘা-চুলকানি ও নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই পায়ের যত্ন নেওয়া জরুরি। বাইরে থেকে ফিরে উষ্ণ গরম জলে খানিক নুন ফেলে পা ডুবিয়ে রাখুন। এতে বাইরের সমস্ত জীবাণু থেকে মুক্তি মিলবে।

•    জমা জলে পা পড়ে গেলে অনেক সময়েই পা ভিজে থাকায় আঙুলের ফাঁকে ফাঙ্গাল ইনফেকশন হয়। এছাড়াও চুলকানি বা ঘা দেখা দেয়। রেহাই পেতে অ্যান্টিফাঙ্গাল পাউডার রাখুন। দিনে বার কয়েকবার এই পাউডার লাগালে ইনফেকশন বেশি ছড়াতে পারবে না এবং চুলকানিও কমবে। 

আরও পড়ুনঃ পেট ব্যথা মানে শুধুই গ্যাস-অম্বল নয়, ৫ ভয়ঙ্কর অসুখে প্রাণ পর্যন্ত যেতে পারে! কখন সতর্ক হবেন?

•    গরম জলে অ্যান্টিসেপ্টিক লিকুইড মিশিয়ে অন্তত পনেরো মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। যদি সেটি না থাকে, তাহলে সামান্য বাথসল্ট মিশিয়ে ঊষ্ণ জলে পা ধুয়ে নিন। এতেও পায়ে থাকা জীবাণু সহজেই দূর হবে। 

•    বাইরে থেকে এসে সব সময় পা পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন। সাধারণ সাবান দিয়েও পরিষ্কার করতে পারেন। 

•    ইনফেকশন প্রতিরোধে নারকেল তেল খুবই সহায়ক। বিশেষ করে যখন সংক্রমণ প্রাথমিক পর্যায়ে থাকে, তখন এটি বেশ ভাল কাজ দেয়। এর অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যগুলি ছত্রাকের সংক্রমণ কমাতে সহায়ক। পায়ে ইনফেকশন হলে প্রথমে জল দিয়ে ধুয়ে যেখানে অ্যালার্জি আছে সেখানে নারকেল তেল দিয়ে মাসাজ করতে পারেন।তবে পায়ে বিশেষ কোনও সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

•    জল পায়ে অনেকক্ষণ থাকলে দুর্গন্ধ হয়। এই সমস্যা কমাতে রম জলে কয়েক চামচ লেবু মিশিয়ে পা ডুবিয়ে রাখুন। আর বাইরে বেরনোর সময় পায়ে হাওয়া লাগে এরকম জুতো পরুন।

•    মোজা পরলে পা থেকে বেশি দুর্গন্ধ বেরোয়। সেই সমস্যা কমাবে কর্পূর ও ট্যালকম পাউডার। মোজা পরার আগে পায়ে ভাল করে ট্যালকম পাউডার মেখে নিন। পাউডারের সঙ্গে সামান্য কর্পূর মিশিয়েও নিতে পারেন। গন্ধ দূর হবে ও অ্যালার্জিও হবে না।

•    জমা জল পেরিয়ে যাতায়াত করলে সর্দি-কাশির আশঙ্কা থাকে। সম্ভব হলে গরম জল খান। আদা, গোলমরিচ দিয়ে জল ফুটিয়ে তাতে লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে গলার অস্বস্তি কমবে। তবে শারীরিক পরিস্থিতি গুরুতর হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।