আজকাল ওয়েবডেস্ক: ‘বাথরুম সিঙ্গার’ কথাটা আজকাল বেশ পরিচিত। এর বহু আগেই অবশ্য বুদ্ধদেব গুহ লিখে ফেলেছেন তাঁর অমর উপাখ্যান, ‘চানঘরে গান’। সেই উপন্যাসে লেখক পত্রালাপে প্রেমকাহিনি গড়েছিলেন। তার মানে কি শুধু প্রেমিকরাই বাথরুমে গুনগুন করে সুর ভাজেন? নাহ্, বহু মানুষই একটু একা থাকলেই গেয়ে ওঠেন পছন্দের গান। কেন জানেন?
মনোবিদ্যায় এটি মানসিক সুস্থতার লক্ষণ। প্রথমত, মানুষ যখন খুশি এবং চিন্তামুক্ত অবস্থায় থাকে, তখনই গান গায়। চানঘর বা বাথরুম আমাদের একটি অত্যন্ত ব্যক্তিগত ও নিরাপদ স্থান। মনস্তত্ত্বের ভাষায় একে ‘সেফ স্পেস’ বলে। এখানে কেউ আমাদের কাঠগড়ায় তুলবেন না, তাই বেসুরে গানেও কোনও লজ্জা থাকে না। এই স্বাধীনতা মনকে ভারমুক্ত করে।
দ্বিতীয়ত, স্নানের সময় বা গান গাওয়ার সময় মস্তিষ্কে এন্ডোরফিন নামক ‘ফিল-গুড’ হরমোন নিঃসৃত হয়। এটি মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে। ফলে আমরা আরও বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করি।
এছাড়াও, বাথরুমের বন্ধ জায়গায় শব্দের অনুরণন বেশি হওয়ায় নিজের গলার স্বর গমগম করে, ফলে গান জোরালো ও সুরেলা শোনায়। এই বিষয়টি আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং গান গাইতে আরও উৎসাহিত করে।
সব মিলিয়ে, চানঘরে গান করা আসলে এক প্রকার ‘সেল্ফ-কেয়ার’। এটি কেবল একটি অভ্যাস নয়, বরং এক হাসিখুশি ও চাপমুক্ত মনের প্রতিচ্ছবি।
