আজকাল ওয়েবডেস্ক: কুকুর মানেই নিঃশর্ত ভালবাসা, নির্ভেজাল সঙ্গ, আর একরাশ খুশি। কিন্তু প্রথমবার পোষ্য রাখার অভিজ্ঞতা একটু কঠিন হতে পারে—কোন প্রজাতির কুকুর পোষা হবে, কীভাবে তার দেখভাল করবেন, আদৌ সামলাতে পারবেন তো? এই সমস্ত ভাবনা মাথায় রেখে, বেছে নিতে পারেন এমন পাঁচটি কুকুরের প্রজাতি, যারা নতুন পোষ্যপ্রেমীদের জন্য একেবারে উপযুক্ত।
১. ল্যাব্রাডর রিট্রিভার
মিষ্টি স্বভাব, চটপটে বুদ্ধি, আর অপরিসীম ধৈর্য—এই তিনটি শব্দে ল্যাব্রাডরকে বর্ণনা করা যায়। ছোট থেকে বড়, সবাইকেই ভালবাসে। প্রথমবার কুকুর পুষছেন? তাহলে ল্যাব্রাডর হতে পারে আপনার নিঃসঙ্গতা কাটানোর শ্রেষ্ঠ সঙ্গী। সহজে প্রশিক্ষণ দেওয়া যায়, মানিয়ে নেয় যে কোনও পরিবেশে। তবে এদের হাঁটাতে হবে নিয়মিত, কারণ এদের দৌড়ঝাঁপের খুব দরকার।
২. গোল্ডেন রিট্রিভার
মন গলানো চোখ, কোমল স্বভাব আর ভরসা করার মতো ব্যবহার—গোল্ডেন রিট্রিভার যেন এক চলমান ভালবাসা। নতুন মালিকের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে একটুও সময় নেয় না। শিশুদের সঙ্গেও দিব্যি মানিয়ে নেয়। একটু বেশি লোম থাকায় নিয়মিত ব্রাশ করতে হয়, তবে এরকম মনের মতো পোষ্য পাওয়া সত্যিই দুর্লভ।
৩. শিহ জু
ছোটখাটো, লম্বা লোমে ঢাকা, একেবারে রাজকীয় চেহারা। চীনের রাজপরিবারে এক সময় এই কুকুরের দাপট ছিল। তবে আজকের দিনে শহুরে ফ্ল্যাটে পোষার জন্য আদর্শ শিহ জু। কম জায়গাতেই দিব্যি মানিয়ে নেয়। ততটা দৌড়ঝাঁপের প্রয়োজন হয় না, তাই বয়স্কদের বা কর্মব্যস্ত দম্পতিদের জন্যও আদর্শ।
৪. পাগ
ছোটখাট গড়ন, মোটা গাল, আর হাসিমুখে তাকিয়ে থাকা এক আশ্চর্য প্রাণী—পাগ! অ্যাডভার্টাইজমেন্টে আমরা যাকে দেখতে অভ্যস্ত, সে কিন্তু বাস্তবেও সমান প্রাণোচ্ছল। যত্ন নেওয়া তুলনামূলকভাবে সহজ। তেমন দৌড়ঝাঁপও দরকার নেই। শিশুদের সঙ্গে থাকতে ভালোবাসে। তবে গরমে একটু অসুবিধা হয়, তাই এয়ার কন্ডিশনড ঘর না হলেও ঠান্ডা পরিবেশ দরকার।
৫. ইংলিশ বুলডগ
বুলডগ শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে গম্ভীর চেহারা, কুঁচকে থাকা মুখ, আর ভারি শরীর। কিন্তু এই চেহারার আড়ালেই লুকিয়ে আছে এক আদুরে, মিষ্টি মনের বন্ধু। ইংলিশ বুলডগ আসলে খুবই শান্ত স্বভাবের, নিঃশব্দ সঙ্গী। প্রথমবার পোষ্য রাখতে চান অথচ খুব বেশি দৌড়ঝাঁপ বা প্রশিক্ষণের ঝামেলায় যেতে রাজি নন? তাহলে বুলডগ-ই হতে পারে আপনার জন্য একেবারে পারফেক্ট। তবে মাথায় রাখতে হবে—ইংলিশ বুলডগদের শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা হতে পারে, গরমে কষ্ট পায় বেশি। তাই ঠান্ডা পরিবেশ ও নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষা প্রয়োজন। এ ছাড়া বেশি খেলাধুলার দরকার নেই, খাওয়াদাওয়ায় একটু নিয়ন্ত্রণ রাখলে দিব্যি থাকবে।
