আজকাল ওয়েবডেস্ক: আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের কলকাতা ফ্যান ক্লাবের কর্তার নামে লালবাজারে অভিযোগ করলেন সৌরভ গাঙ্গুলি। তাঁর বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্যের জেরেই এই অভিযোগ। সৌরভ জানান, তাঁর সুনাম নষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে তাঁর মানসিক শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে। কোনও সময় নষ্ট না করে সরাসরি লালবাজারের দ্বারস্থ হন সৌরভ। কলকাতা পুলিশের সাইবার সেলে অভিযোগ দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার ইমেলের মাধ্যমে অভিযোগ দায়ের করেন সৌরভ। যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, তাঁর নাম উত্তম সাহা। দাবি করেন, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তাঁর নামে মিথ্যা রটাচ্ছে। উত্তম সাহা কলকাতার আর্জেন্টিনা ফুটবল ফ্যান ক্লাবের সভাপতি। তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ আনা হয়। জানান, প্রকাশ্যে সৌরভের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তোলেন, যা ভিত্তিহীন। 

মেসি সফরের মূল উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তের সঙ্গে সৌরভের নাম জুড়ে কিছু কুরুচিকর মন্তব্য করেন উত্তম সাহা। এতেই আপত্তি জানান সৌরভ। সেই মন্তব্যের কথা চিঠিতে উল্লেখ করেন বোর্ডের প্রাক্তন সভাপতি। ইমেলে সৌরভ জানান, ক্রীড়াবিদ এবং প্রশাসক হিসেবে দেশে এবং বিদেশে তিনি সুনাম অর্জন করেছেন। সেই সুনাম নষ্ট করার চেষ্টা চলছে। তারই প্রতিবাদ জানিয়ে লালবাজারে সৌরভ। প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত আড়াইটা নাগাদ কলকাতায় পা রাখেন লিওনেল মেসি। শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন সংলগ্ন হোটেল থেকে বোতাম টিপে নিজের ৭০ ফুটের মূর্তির উন্মোচন করেন। স্পনসরদের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। তারপর যুবভারতীতে যান মেসি। এখানেই বিপত্তি। 

মাত্র ২৩ মিনিট মাঠে ছিলেন। শনিবার সকাল সাড়ে এগারোটায় স্টেডিয়ামে পা রাখেন। ছাড়েন ১১.৫৩ মিনিটে। সবচেয়ে বড় বিষয় হল, যে ২৩ মিনিট মাঠে ছিলেন, মেসিকে দেখতে পায়নি সমর্থকরা। তাঁকে প্রায় ১০০ জন ঘিরে ছিল। যার মধ্যে ছিলেন নেতা, আমলারা। ফলে মেসিকে দেখতেই পায়নি ভক্তরা। হাজার হাজার টাকা খরচ করে মেসির দর্শন না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ জনতা যুবভারতী ভাঙচুর করে। কলঙ্কিত হয় কলকাতা। গ্রেপ্তার করা হয় প্রধান উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তকে। স্টেডিয়াম ভাঙচুরের জন্য আরও অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়। গোটা ঘটনার জেরে পদত্যাগ করেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। শোকজ করা হয় ডিজি রাজীব কুমারকে। ডিসি বিধাননগর অনীশ সরকারকে সাসপেন্ড করা হয়।