সামনেই বিয়ে? চলছে জোরকদমে প্রস্তুতি। সপ্তাহান্তে টুক টুক করে শপিং করছেন। সারছেন নেমতন্ন পর্বও। এসবের মাঝে নিজের খেয়াল রাখতে ভুলে যাচ্ছেন না তো? বিয়ের দিন আপনিই যে মধ্যমণি। যতই কনের মেকআপে খুঁত ঢাকুন না কেন, ত্বকের স্বাভাবিক জেল্লার কাছে হার মানে সব কিছুই। তাই তো বিয়ের আগে থেকে ত্বকের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। তবে ভুলভাবে স্কিনকেয়ার করলে কিন্তু সবই বৃথা , উল্টে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। তাহলে ত্বকের পরিচর্যায় কোন কোন ভুল এড়িয়ে চলবেন, জেনে নিন। 

১. শেষ মুহূর্তে নতুন প্রোডাক্টঃ বিয়ের আগে নতুন ক্রিম বা ট্রিটমেন্ট শুরু করলে তা ত্বকে প্রভাব ফেলতে পারে। শেষ মুহূর্তে ব্রণ, অ্যালার্জি বা দাগ দেখা দিতে পারে। তাই অন্তত এক মাস আগে থেকে নতুন কিছু ব্যবহার করে দেখুন, তাহলে সময় থাকবে বদলানোর।

২. অতিরিক্ত এক্সফোলিয়েশন অনেকেই ভাবেন ঘন ঘন স্ক্রাব করলে ত্বক চকচকে হবে। আসলে উল্টো হয়। ত্বকের প্রাকৃতিক তেল উঠে গিয়ে চামড়া শুষ্ক, সংবেদনশীল ও লালচে হয়ে যায়। সপ্তাহে একবারই স্ক্রাবিং যথেষ্ট।

৩. সানস্ক্রিন বাদ দেওয়াঃ মেঘলা দিন হোক বা ঘরের ভেতর থাকুন, সূর্যের আলো থেকে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। প্রতিদিন সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে ট্যান ও বলিরেখা কমবে, ত্বক থাকবে মসৃণ।

৪. মেকআপ না তুলে ঘুমিয়ে পড়াঃ রাতে ঘুমের সময় ত্বক নিজেকে পুনরুদ্ধার করে। মুখে মেকআপ রেখে ঘুমালে রোমকূপ বন্ধ হয়ে যায়, ফলে ব্রণ ও কালো দাগ বাড়ে। তাই রাতে ক্লিনজার ব্যবহার করা আবশ্যক।

৫. মুখে বারবার হাত দেওয়াঃ অতিরিক্ত মুখ স্পর্শ করলে হাতে থাকা ব্যাকটেরিয়া ত্বকে ছড়িয়ে পড়ে। এর ফল ইনফেকশন, র‍্যাশ বা ব্রণ হতে পারে। তাই যতটা সম্ভব মুখে হাত না দেওয়া ভাল।

৬. সুগন্ধিযুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার করাঃ সুগন্ধিযুক্ত পণ্য অনেক সময় অ্যালার্জি বা চুলকানির কারণ হয়। বিশেষ করে সংবেদনশীল ত্বকের ক্ষেত্রে এগুলো সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলাই ভাল।

৭. ব্রণ খোঁচানোঃ ব্রণ খোঁচাবে প্রদাহ বাড়ে এবং স্থায়ী দাগ তৈরি হয়। বরং আইস কিউব বা অ্যান্টি-অ্যাকনে জেল ব্যবহার করুন।

৮. খুব দেরিতে স্কিনকেয়ার শুরু করাঃ ত্বকের প্রকৃত উন্নতি সময়সাপেক্ষ। বিয়ের এক সপ্তাহ আগে শুরু করলে ফল আসবে না। অন্তত ৩ মাস আগে থেকে রুটিন মেনে চললে উজ্জ্বলতা আসবে ভিতর থেকে।

৯. পর্যাপ্ত না ঘুমানোঃ বিয়ের আয়োজনের ব্যস্ততায় অনেক কনের ঠিকমতো ঘুম হয় না। কিন্তু ঘুমের ঘাটতিতে চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল ও ফোলা ভাব আসে, ত্বক মলিন হয়ে যায়। প্রতিদিন অন্তত ৭ ঘণ্টা ঘুম অপরিহার্য।

১০. ভুল ঘরোয়া টোটকা ব্যবহারঃ ইন্টারনেটের যুগে অনেক ঘরোয়া টোটকা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু সব ঘরোয়া প্যাক সকলের জন্য ভাল নয়। লেবু, বেকিং সোডা বা টুথপেস্টের মতো উপাদানের প্যাক চামড়া জ্বালিয়ে দিতে পারে। তাই প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়াই সঠিক।