আজকাল ওয়েবডেস্ক: রান্নাঘরের অন্যতম অপরিহার্য দুই সদস্য পেঁয়াজ আর রসুন। বিশেষ করে যাঁরা আমিষ খাবার পছন্দ করেন তাঁদের তো প্রায় সব খাবারেই হাজির থাকে এই দুই সবজি। কিন্তু সমস্যা একটাই, পেঁয়াজ-রসুন একটু এদিক-ওদিক রাখলে দু’দিনের মধ্যেই নরম হয়ে যায়, গন্ধ ছড়ায়, এমনকি অঙ্কুরও গজিয়ে ওঠে। অনেকেই ভাবেন, ফ্রিজে রাখলে বুঝি সমস্যার সমাধান। কিন্তু উল্টে ফ্রিজের ঠান্ডায় পেঁয়াজ-রসুনের খারাপ যায়। আর্দ্রতা বেড়ে দ্রুত পচে যেতে পারে। তাই সঠিক পদ্ধতিতে সংরক্ষণ জরুরি।

১. ঠান্ডা, শুকনো এবং বাতাস চলাচল করে এমন অন্ধকার কোণ

পেঁয়াজ-রসুন আলোয় রাখলে তাড়াতাড়ি অঙ্কুর গজিয়ে যায়। তাই ঘরের এমন এক কোণ বেছে নিন, যেখানে সূর্যের আলো সরাসরি পড়ে না, আবার হাওয়া চলাচল করতে পারে। বারান্দার এক কোণ কিংবা রান্নাঘরের নিচের তাক এই কাজে আদর্শ স্থান হতে পারে।

২. ছিদ্রযুক্ত ঝুড়ি বা খোপযুক্ত বেতের ঝাঁপি

প্লাস্টিক ব্যাগে পেঁয়াজ-রসুন রাখলে আর্দ্রতা জমে যায়। প্লাস্টিকের ব্যাগে বাতাস চলাচল করতে পারে না। তার বদলে ব্যবহার করুন বাঁশের তৈরি খোপওয়ালা ঝুড়ি। এতে সহজেই হাওয়া চলাচল করে, ফলে আর্দ্রতা কম থাকে ও পেঁয়াজ-রসুন বেশিদিন ভাল থাকে।

৩. ঠান্ডা সিঁড়িঘর বা ঘরের নিচের স্টোররুম
যাঁদের বাড়িতে ঠান্ডা, অন্ধকার স্টোররুম আছে, তাঁরা সেখানে পেঁয়াজ-রসুন রাখতে পারেন। বিশেষ করে শীতে ঘরের নিচের এমন জায়গাগুলি পেঁয়াজ-রসুন রাখার জন্য উপযুক্ত, কারণ তাপমাত্রা কম থাকে।

৪. মাটির হাঁড়ি
একটু পুরনো হলেও কার্যকরী উপায় এটি। আগেকার দিনে এই পদ্ধতিতেই পেঁয়াজ রসুন সংরক্ষণ করা হত। মাটির পাত্রে রাখা পেঁয়াজ-রসুন সহজে ঘামে না, আর্দ্র হয় না। এই ধরনের পাত্র এমনিতেই ঠান্ডা থাকে। তাছাড়া বায়ু চলাচলও সংরক্ষণে সহায়তা করে।