আজকাল ওয়েবডেস্কঃ সংসারে অস্বচ্ছলতা, পারিবারিক কলহ ও বিবাদ সঙ্গ না ছাড়লে মন মেজাজ বিগড়ে থাকে। উন্নতির দোড়গোড়ায় পৌঁছেও অসফল হতে হয়। পরিবারের সদস্যদের ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়া বা মনোমালিন্যে শান্তি বিঘ্নিত হয়। একটু গভীরভাবে চিন্তা করলে বোঝা যায়, এই অবস্থার জন্য দায়ী কে বা কী? আপনার পারিপার্শ্বিক পরিবেশ বা সংসারে কোনও কুনজরের প্রভাব পড়েনি তো? তবে সমস্যা থাকলে তার সমাধানও রয়েছে।
বাস্তু শাস্ত্র মতে, তিনটি ঘরোয়া উপাদান কর্পূরের সঙ্গে পোড়ালে ঘরের সুখ -শান্তি, স্বচ্ছলতা, পজিটিভ শক্তি বৃদ্ধি পাবে অচিরেই। কীভাবে জানুন।
সপ্তাহের প্রতি মঙ্গলবার ও শনিবার দুটি লবঙ্গকে একটি মাটির প্রদীপে দুটি কর্পূরের সঙ্গে পুড়িয়ে দিন। আপনার বাড়ির সব ধরণের নেগেটিভ শক্তি বাইরে বেরিয়ে যাবে এবং পজিটিভ শক্তির বাস শুরু হবে।
প্রতি সপ্তাহের রবিবার ও সোমবার মাটির প্রদীপে দুটি কর্পূরের সঙ্গে দারচিনির ২-৩টি কাঠি বা দারচিনিগুঁড়ো পুড়িয়ে দিন। এতে আপনার সংসারে যে কোনও ধরণের বাস্তু দোষ দূর হবে ও বাড়িতে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি উপচে পড়বে।
সপ্তাহের যে কোনও দিন একটি মাটির প্রদীপে দুটি কর্পূরের সঙ্গে দুটি তেজপাতা পুড়িয়ে দিন। এতে আপনার বাড়ি ও জীবন থেকে সমস্ত নেগেটিভ শক্তি দূর হবে ও পারিবারিক মনোমালিন্য দূর হয়ে শান্তি বিরাজ করবে।
বাড়িতে পুজোপাঠ হোক কিংবা বাড়িতে পোকামাকড়ের উপদ্রব, অনেকেই ভরসা রাখেন কর্পূরে। ত্বকের অসুখে যেমন একজিমা, চুলকানি প্রভৃতি সমস্যায় কর্পূর ভীষন কার্যকরী।আবার ঠান্ডা লাগা ও গলার সংক্রমণে, সর্দি কাশির উপশমে কর্পূর ব্যবহার করার চল বহু প্রাচীন। কিন্তু রোজের ঘরোয়া ব্যবহার ছাড়াও কর্পূর বাড়ির সুখ সমৃদ্ধি বৃদ্ধির উদ্দেশ্যেও কাজে লাগতে পারে। পুজোর স্থানে কর্পূর জ্বালিয়ে রাখলে তার সুগন্ধে চারিদিকে পজিটিভ শক্তি বিরাজ করে।তাতে মন ও শরীর উভয়ই থাকবে চনমনে। কর্পূর পোড়ানো ঘরে সুখ এবং ইতিবাচক শক্তি নিয়ে আসে। কর্পূরের কিছু ওষুধী গুণও আছে। এছাড়াও জ্যোতিষশাস্ত্রীয় প্রতিকারেও কর্পূর প্রচুর ব্যবহৃত হয়। কর্পূর গ্রহ ও বাস্তু দোষ দূর করে।
