দ্রিক পঞ্জিকা অনুযায়ী ১২ নভেম্বর সকাল ৭টা ৪৩ মিনিট থেকে বুদ্ধি এবং বাণিজ্যের কারক গ্রহ বুধ এবং প্রেম, সুখ ও অর্থের কারক গ্রহ শুক্র একত্রে দ্বাদশ যোগ গঠন করতে চলেছে।

তিন রাশির জাতকদের জন্য বিশেষ শুভ সময়
এই শুভ বুধ-শুক্র দ্বাদশ যোগ তিন রাশির জাতকদের জন্য আনতে পারে সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধি। এই সময় তাদের ব্যক্তিত্বে আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে, সৃজনশীলতা ও শিল্পপ্রতিভা বিকশিত হতে পারে, এবং অর্থলাভের নতুন সুযোগও তৈরি হবে।

বৃষ রাশি
বৃষ রাশির জাতকদের জন্য এই যোগ অত্যন্ত শুভ প্রমাণিত হবে। সৃজনশীল চিন্তা ও কর্মে উন্নতি ঘটবে, প্রেমজীবনে মিলবে সাফল্য। ভাগ্য থাকবে সম্পূর্ণ অনুকূলে। ব্যবসায়ে লাভ এবং দীর্ঘদিনের আটকে থাকা কাজও সম্পন্ন হবে। আয় বৃদ্ধি পাবে, ফলে আর্থিক স্থিতি দৃঢ় হবে। সমাজে সম্মান ও খ্যাতি বাড়বে, মানসিক শান্তিও বজায় থাকবে।

কন্যা রাশি
কন্যা রাশির জাতকদের জন্যও এই যোগ বিশেষভাবে লাভজনক হবে। ব্যবসায়িক পরিকল্পনা পূর্ণতা পেতে পারে, বিনিয়োগের নতুন পথ খুলবে। বড় আর্থিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার উপযুক্ত সময় এটি। পুরনো ঋণ পরিশোধে সফলতা মিলবে, পরিবারে শান্তি বজায় থাকবে এবং সম্পর্কের মধ্যে আসবে মাধুর্য।

তুলা রাশি
তুলা রাশির জাতকদের জন্য শুক্র গ্রহের প্রভাব বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। বুধের সঙ্গে এই শুভ সংযোগে তাদের ব্যক্তিত্বে আসবে বাড়তি আকর্ষণ। শিল্প, ফ্যাশন, রন্ধন, ডিজাইন ও সামাজিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে উজ্জ্বল সাফল্য আসবে। কর্মজীবনে নতুন সুযোগ তৈরি হতে পারে। আর্থিক অবস্থাও দৃঢ় হবে। প্রেম, বিবাহ বা পার্টনারশিপের ক্ষেত্রেও অনুকূল সময়ের ইঙ্গিত মিলছে।

বুধ এবং শুক্রের এই দ্বিদ্বাদশ যোগ এমন এক শক্তিশালী জ্যোতিষীয় সংযোগ যা জীবনের বিভিন্ন দিককে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। এই সময় বুদ্ধি, রুচি, শিল্পসত্তা ও আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটায়। বিশেষত বৃষ, কন্যা এবং তুলা রাশির জাতকদের জন্য এটি এক সৌভাগ্যের সময় হতে পারে। তাদের রোম্যান্টিক জীবন আরও মধুর হবে, সম্পর্কগুলো দৃঢ় হবে, এবং কর্মজীবনে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে যাবে।

বুধের প্রভাবে যুক্তিবোধ এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা বাড়বে, আর শুক্রের প্রভাবে জীবনে আসবে সৌন্দর্য, সমৃদ্ধি ও আনন্দ। যাঁরা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত, তাঁরা এই সময়ে লাভবান হতে পারেন। পাশাপাশি শিল্প, ফ্যাশন, ডিজাইন, বা সামাজিক ক্ষেত্রে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের জন্য এটি আত্মপ্রকাশের অনুকূল সময়।

এই শুভ যোগের পূর্ণ সুফল পেতে শান্ত মন, ইতিবাচক চিন্তা ও বাস্তববাদী দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখা জরুরি। মহাজাগতিক এই শক্তির সঠিক ব্যবহারে জীবনে আসতে পারে সাফল্য, প্রাচুর্য ও মানসিক তৃপ্তি — যা দীর্ঘমেয়াদে সুখ ও স্থিতির পথ প্রশস্ত করবে।