আজকাল ওয়েবডেস্কঃ বর্ষাকাল এলেই বাড়ে মশার উপদ্রব। এই মরশুম থেকে বাড়তে থাকে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার প্রকোপ। যার জন্য কীটনাশক প্রতিরোধক, মশারি এবং ফুলহাতা জামা পরা এবং বাড়ির আশোপাশে জল না জমানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। মশা কামড়লে চামড়া ফুলে যায়, চুলকানি থামতে চায় না। আপনি কি জানেন, হাতের কাছে থাকা সাধারণ কলার খোসাই হতে পারে এই সমস্যার প্রাকৃতিক সমাধান? শুনতে অবাক লাগলেও এই টোটকা নাকি মুহুর্তে কমাতে পারে মশার কামড়ের চুলকানি।
আসলে মশা যখন ত্বকের ভিতরে লালা প্রবেশ করায়। মশার লালায় এমন প্রোটিন থাকে যার ফলে হিস্টামিন নিঃসরণ হয়। এর থেকে প্রদাহ, চুলকানি এবং ফোলাভাব সৃষ্টি হতে পারে। এক্ষেত্রেই চুলকানির অনুভূতি কমাতে সাহায্য করতে পারে কলার খোসা। কলার খোসার উৎসেচক মশার লালার প্রোটিনকে ভেঙে দেয়। ফলে চুলকানি ও ফোলাভাব থেকে উপশম মেলে। তাই পরের বার কলা খাওয়ার পর আর খোসা ডাস্টবিনে ফেলবেন না! বরং মশার কামড়ে ত্বকে চুলকানি, র্যাশ হলে ব্যবহার করুন।
আসলে বিশেষজ্ঞদের মতে, কলার খোসায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা মশার কামড়ের জ্বালা ও চুলকানি কমাতে সাহায্য করে। যেমন এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান চুলকানি ও লালভাব কমাতে সহায়ক। কলার খোসার ভিতরের অংশ চুলকানির জায়গায় ঘষে দিলে ঠান্ডা অনুভব দেয় এবং জ্বালা কমায়।
কীভাবে ব্যবহার করবেন
* মশা কামড়ানোর জায়গাটি পরিষ্কার করে নিন। কলা খাওয়ার পর খোসার ভিতরের সাদা অংশটি সরাসরি সেই জায়গায় ঘষে নিলে উপকার পাবেন। ৫-১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
* কলার খোসা চটকে নিন। তার সঙ্গে যোগ করুন কয়েক ফোঁটা গোলাপ জল বা গ্লিসারিন। মশা কামড়ানোর জায়গায় এই মিশ্রণটি লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন। এরপর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
