আজকাল ওয়েবডেস্ক: কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত। সঠিক দায়িত্ব পালন না করায় সরিয়ে দেওয়া হল কলেজের ডিন অফ স্টুডেন্টস অ্যাফেয়ারকে। তাঁর বিরুদ্ধে গত জুন মাসে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন কলেজেরই তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রী। যা তদন্ত করে কর্তৃপক্ষ তাঁকে শনিবার তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ডা. সুদীপ্ত রায় বলেন, 'অভিযোগ পাওয়ার পর তা অনুসন্ধান করে দেখা হয় এবং অনুসন্ধানের পর ডিনকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।' জানা গিয়েছে, কলেজের নতুন ডিন হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অধ্যাপক ডা. অরূপ চক্রবর্তীকে।
কলেজের একটি সূত্র জানায়, ডিন-এর বিরুদ্ধে মেডিক্যাল পড়ুয়াদের অভিযোগ, তিনি বিভিন্নভাবে তাঁদের হুমকি বা কোনও একটি রাজনৈতিক দলে যুক্ত হওয়ার জন্য পরোক্ষভাবে চাপ সৃষ্টি করতেন। যেটা খুবই মারাত্মক। কারণ, ডিন হিসেবে তাঁর দায়, ছাত্রদের উদ্বুদ্ধ করা, তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়ার মতো বিষয়গুলি। কিন্তু তিনি সেই দায়িত্বে ব্যর্থ হয়েছেন বলে কলেজ কাউন্সিল মনে করছে। প্রসঙ্গত, কাউন্সিলে কলেজের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ ও হাসপাতাল সুপার এবং সমস্ত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ছাড়াও ডিন নিজেও একজন সদস্য হিসেবে থাকেন।
কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিনের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ করেছিলেন তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রী। গত জুন মাসে তিনি অভিযোগ করেন, তাঁকে একটি রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনে যোগ দিতে চাপ দেওয়া এবং কথা না শুনলে তাঁর বাবাকে বদলির হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। ডিন ছাড়াও আরও দুই অধ্যাপক চিকিৎসকের বিরুদ্ধেও অভিযোগ পান কলেজ কর্তৃপক্ষ। এঁদের মধ্যে একজন ফার্মাকোলজি এবং আরেকজন অ্যানাটমি বিভাগে কর্মরত ছিলেন।
কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট গাইডলাইন অনুযায়ী যে তদন্ত কমিটি গঠন করে তার মাথায় ছিলেন কলেজের মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. সৌমিত্র ঘোষ। অনুসন্ধানের পর কাউন্সিল ডিন ছাড়া ওই দুই অধ্যাপক শিক্ষককেও তাঁদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেন। এবিষয়ে বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ, মোবাইলে বিভিন্ন সময় রেকর্ডেড বিভিন্ন ফোন কল পরীক্ষা করে তদন্ত কমিটি অভিযোগের সত্যতা পায় এবং এরপরেই কাউন্সিল ডিনকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
