আজকাল ওয়েবডেস্ক: আরও একটি রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ। শেষ ওভার পর্যন্ত টানটান উত্তেজনা। কিন্তু দিল্লি ক্যাপিটালস হতে পারল না গুজরাট টাইটান্স। মঙ্গলবার পাঞ্জাব কিংসের কাছে ১১ রানে হার শুভমন গিলের দলের। ঘরের মাঠে হার দিয়ে শুরু গুজরাটের। আপ্রাণ চেষ্টা করেও দলকে জেতাতে পারলেন না সাই সুদর্শন, জস বাটলাররা। নতুন দলের দায়িত্ব নিয়েই জয় দিয়ে শুরু করলেন আইপিএল জয়ী অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ২৪৩ রান করে পাঞ্জাব কিংস। বিধ্বংসী ৯৭ রানে অপরাজিত শ্রেয়স। রিকি পন্টিং-শ্রেয়স আইয়ার জুটিতে খোল-নলচে বদলে গিয়েছে পাঞ্জাবের। আগাগোড়াই আগ্রাসন। আইপিএলের প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার বছরে পুনর্জন্ম পাঞ্জাবের। এর আগে প্রথম ম্যাচ থেকেই প্রীতি জিন্টার দলকে অলআউট ঝাঁপাতে দেখা যায়নি। তাও আবার প্রতিপক্ষের ডেরায়।
কেকেআরকে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন করা সত্ত্বেও রাখা হয়নি শ্রেয়স আইয়ারকে। এদিন হয়তো হাত কামড়াবেন ভেঙ্কি মাইসোর। গুজরাটের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচেই ব্যাটে ঝড় তোলেন নাইটদের বিতাড়িত নেতা। ৪২ বলে ৯৭ রানে অপরাজিত থাকেন। বিধ্বংসী ইনিংসে ছিল ৯টি ছয়, ৫টি চার। স্ট্রাইক রেট ২৩০। কেকেআরের হয়ে পছন্দের পজিশনে নামতে পারেননি। কিন্তু এবার আইপিএল শুরুর আগেই জানিয়ে দেন, তিন নম্বরে খেলতে চান। নেমেই ঝড় তোলেন। রোহিত শর্মার পর বর্তমানে ভারতীয় ক্রিকেটে ছয় মারার রাজা যে তিনি, সেটা আরও একবার প্রমাণ করলেন। নাইটদের আইপিএল দেওয়া সত্ত্বেও ছাড়তে হয়েছে বেগুনি জার্সি, সেই ক্ষোভ-জেদ হয়তো লুকিয়ে ছিল। তারই বহির্প্রকাশ হয় ব্যাটে। একইসঙ্গে দেখিয়ে দেন, এই পাঞ্জাব আগের পাঞ্জাব নয়। পন্টিং-শ্রেয়স জুটিতে ভোল বদলে গিয়েছে। আগাগোড়াই আগ্রাসন। অখ্যাত ব্যাটার প্রিয়নশ আর্য থেকে শুরু করে শশাঙ্ক সিং। গুজরাটের বোলারদের বিরুদ্ধে শুরুতে আক্রমণ চালান প্রিয়নশ। ২৩ বলে ৪৭ রান করেন। বাকি কাজটা সারেন শ্রেয়স। শেষে ১৬ বলে ৪৪ রানের ক্যামিও শশাঙ্ক সিংয়ের। নির্ধারিত ওভারের শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৪৩ রান তোলে পাঞ্জাব। ৩ উইকেট নেন সাই কিশোর। রশিদ খান এবং কাগিসো রাবাডা একটি করে উইকেট নিলেও, প্রচুর রান দেন।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভাল করে গুজরাট। প্রথম উইকেটে ৬১ রান যোগ করেন শুভমন গিল এবং সাই সুদর্শন। ৩৩ রান করে আউট হন গুজরাটের অধিনায়ক। আগের আইপিএলে যেখানে শেষ করেছিলেন, এদিন ঠিক সেখান থেকে শুরু করেন সাই। ৬টি ছয়, ৫টি চারের সাহায্য ৪১ বলে ৭৪ রান করেন। দুই ওপেনার আউট হওয়ার পর গুজরাটকে এগিয়ে নিয়ে যান জস বাটলার এবং শারফেন রুদারফোর্ড। দু'জন ব্যাট করার সময় মনে হয়েছিল, হয়তো লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে গুজরাট। হাতে ৮ উইকেট ছিল। কিন্তু ৩৩ বলে ৫৪ রান করে বাটলার আউট হতেই বিপাকে পড়ে শুভমনের দল। রুদারফোর্ডের পক্ষে একা দলকে জেতানো সম্ভব ছিল না। ২৮ বলে ৪৬ রানে আউট হন। নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৩২ রানে থামে গুজরাটের ইনিংস। ম্যাচের সেরা শ্রেয়স।
