আজকাল ওয়েবডেস্ক: সায়ানাইড খাইয়ে পরপর হত্যা। ১৫টি খুনের চেষ্টার পর মাত্র একটিতে বিফল। ৩৬ বছর বয়সি সিরিয়াল কিলারের কাণ্ডে রীতিমতো চমকে গেছে গোটা থাইল্যান্ড। ১৪ জন বন্ধুকে খুনের পর তরুণীকে মৃত্যুদণ্ড দিল আদালত।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, থাইল্যান্ডের বাসিন্দা ৩৬ বছর বয়সি সরারত নামের তরুণী পরপর ১৪ জন বন্ধুকে খুন করেছে। সবাইকেই সায়ানাইড মেশানো পানীয় খাইয়ে খুন করে সে। খুনের আগে বন্ধুদের থেকে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে, গয়না চুরি করত সরারত। ১৪টির মধ্যে প্রথম খুনের ঘটনার তদন্ত চলছে। তাতেই মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হল তাকে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত বছরের এপ্রিলে বন্ধু সিরিপর্ন খানওংকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাঙ্ককের পশ্চিমে অবস্থিত রাচাবুরি প্রদেশে ভ্রমণ করতে গিয়েছিল সরারত। সেখানে একটি নদীতে তারা একটি বৌদ্ধ আচারে অংশ নিয়েছিলেন। সেখান থেকে সিরিপর্নের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের পর তাঁর শরীরে সায়ানাইডের চিহ্ন পাওয়া যায়। তখনই সরারতকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তদন্তে জানা গিয়েছে, ২০১৫ সাল থেকে খুনের অপরাধে জড়িত সরারত। সৌভাগ্যজনকভাবে একজন তার হাত থেকে প্রাণে বাঁচেন। সম্প্রতি আদালত সরারতকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি সরারতের স্বামী, তার প্রাক্তন আইনজীবী ও একজন পুলিশ কর্মকর্তাকেও প্রমাণ লোপাটের জন্য অভিযুক্ত করেছে আদালত। বিচারে তাদের যথাক্রমে এক বছর, দুই বছর ও চার মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
