আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রতিটি সময় পরিবেশ পরিবর্তন ঘটছে। সেখানে সবথেকে বেশি সমস্যা তৈরি হয়েছে বরফের গলে যাওয়া। এরফলে যেমন সমুদ্রের জলের স্তর বাড়ছে। ঠিক তেমনভাবে এরফলে ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি জেগে উঠছে।


বিজ্ঞানীরা মনে করছেন বহু বছর ধরে বিভিন্ন আগ্নেয়গিরি ঘুমিয়ে ছিল। তাদের মাথায় ওপর বরফের স্তর তাদেরকে ঘুমে থাকতে বাধ্য করেছিল। তবে সেখান থেকে এখন পরিস্থিতি বদল ঘটেছে। এবার বরফ গলার ফলে সেই আগ্নেয়গিরি জেগে উঠে চরম ক্ষতি করতে পারে।


এমনিতে বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ছে। যেসব দেশে আগ্নেয়গিরির সংখ্যা বেশি সেখানে এই বিপদের আশঙ্কা সবথেকে বেশি। আন্টার্কটিকাতে গলছে বরফ। তার সরাসরি প্রভাব পড়ছে বিভিন্ন আগ্নেয়গিরির ওপর। 


মার্কিন দেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতে, বরফের শীতলতা আগ্নেয়গিরিকে সক্রিয় হতে বাধা দেয়। ফলে সহজে সেখান থেকে লাভা বেরিয়ে আসতে পারে না। তবে যত দ্রুত বরফ গলবে ততই সক্রিয় হয়ে উঠবে আগ্নেয়গিরি। এর প্রমাণ দিতে গিয়ে তারা বলছেন বরফের যুগ ছিল ২৬ হাজার থেকে ১৮ হাজার বছর আগে। সেই সময় পৃথিবী বরফের চাদরে ঢাকা ছিল। ফলে সেই সময় পৃথিবীতে কোনও আগ্নেয়গিরি সক্রিয় ছিল না।


বরফের স্তর যত গলবে ততই সেখান থেকে সক্রিয় হবে আগ্নেয়গিরি। ফলে সেখান থেকে নতুন বিপদের ইঙ্গিত দিচ্ছে। পৃথিবীতে যত সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে তাদের পাশাপাশি সমস্ত ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি এবার জেগে উঠতে পারে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিজ্ঞানীরা।


বিজ্ঞানীরা মনে করছে লাভা একদিনে বেরিয়ে আসবে না। তার ওপর থেকে বরফ যত কম থাকবে তত সে নিজেকে তৈরি করবে। পাশাপাশি যদি বিভিন্ন দেশগুলি ভাঙতে শুরু করে সেখানেও সরাসরি প্রভাব পড়বে বিভিন্ন আগ্নেয়গিরির ওপর। 


যত বেশি করে মাটির নিচ থেকে লাভা বেরিয়ে আসবে ততই পৃথিবীর পরিবেশে বড় পরিবর্তন ঘটবে। পৃথিবীর বাতাসে যে দূষণ চলবে তাতে পৃথিবীতে কমবে অক্সিজেন বাড়বে কার্বনের পরিমান।