আজকাল ওয়েবডেস্ক: যদিও রাশিয়া বিশ্বের বৃহত্তম হীরে উৎপাদনকারী এবং এ দেশেই রয়েছে দুনিয়ার বৃহত্তম হীরের খনি, তবুও পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী হীরেটি রাশিয়ায় নয় বরং আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানায় অবস্থিত। বতসোয়ানা বিশ্বের শীর্ষ হীরে উৎপাদনকারী দেশগুলির মধ্যে একটি।
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী হীরের খনি কোথায় রয়েছে?
 
 দক্ষিণ আফ্রিকার একটি স্থলবেষ্টিত দেশ বতসোয়ানার জোয়ানেং হীরের খনিকে বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান হীরের খনি হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
উচ্চমানের হীরে সমৃদ্ধ বতসোয়ানার রাজধানী গ্যাবোরোনে অবস্থিত জোয়ানেং হীরের খনিটি দক্ষিণ আফ্রিকার হীরে জায়ান্ট ডি বিয়ার্স এবং বতসোয়ানা সরকারের একটি যৌথ উদ্যোগ।
খনিটি গ্যাবোরোন থেকে ১৭০ কিলোমিটার (১০৫ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত এবং আনুমানিক এক বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের, যা এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী হীরের খনিতে পরিণত করেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, জোয়ানেং হীরের খনি হল একটি সুপ্ত আগ্নেয়গিরির মাঝখানে অবস্থিত এটি উন্মুক্ত খনি এবং এটি কিম্বারলাইট পাইপের চারপাশে গঠিত হয়েছিল, এটি একটি বিরল আগ্নেয়গিরির শিলা গঠন যেখানে হীরের ঘনত্ব বেশি।
খনিটিতে কত পরিমাণ হীরে মজুদ আছে?
 
 জোয়ানেং খনিতে তিনটি প্রধান কিম্বারলাইট পাইপ রয়েছে যা প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ ক্যারেট হীরে উৎপাদন করে। বিস্তারিত তথ্য অনুসারে, জোয়ানেং হীরের খনি থেকে ২০২৩ সালে আনুমানিক ১.১৮৬ মিলিয়ন ক্যারেট হীরে উৎপাদিত হয়েছিল। ২০৩৬ সাল পর্যন্ত এটি কার্যকর থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
১৯৭৩ সালে ডি বিয়ার্স এক্সপ্লোরেশন জোয়ানেং খনিটি আবিষ্কারের করে। আবিষ্কারের প্রায় এক দশক পরে ১৯৮২ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রমের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, খনিটি ভূগর্ভস্থ খনন অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সম্প্রসারিত করা হয়েছে এবং এটি দুনিয়ার সবচেয়ে ধনী হীরের খনি হয়ে উঠেছে।
সেতসোয়ানায় "জোয়ানেং" নামের আক্ষরিক অর্থ "রত্নপাথরের স্থান"। খনিটি সেই উপাধি এখনও ধরে রেখেছে। বতসোয়ানার অর্থনীতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এই খনি। হীরের দ্যুতিতেই দারিদ্রতা কাটিয়ে আলোয় ফেরার স্বপ্ন দেখছে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি স্থলবেষ্টিত দেশ বতসোয়ানা।
আরও পড়ুন- পৃথিবীর অর্ধেক হীরের মজুদ এখানেই, জানেন দুনিয়ার সবচেয়ে বৃহৎ হীরে উৎপাদনকারী দেশ কোনটি?
