আজকাল ওয়েবডেস্ক: পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন। তার পরেই বৈঠকে বসলেন জেলেনস্কির সঙ্গে। বৈঠক শেষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট একের পর এক পয়েন্ট তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন বৈঠকের সারাংশ। কি হতে পারে, কী হতে চলেছে সেসব বিষয়েও। 

 

সোমবার ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পরেই জেলেনস্কি  জানিয়েছিলেন, ইউক্রেনের নিরাপত্তার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করা হয়েছে। সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই ইউরোপীয় তহবিল থেকে ইউক্রেনকে দেওয়া হবে ন' হাজার কোটি ডলার, সেই টাকার বিনিময়ে ইউক্রেন আমেরিকা থেকে অস্ত্র কিনবে। 

 

তবে জেলেনস্কি এবং ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠক শেষে নজর ছিল, ঠিক কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে সেদিকে। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের মাঝেই পুতিনের সঙ্গে ফোনে বার্তালাপ হয় ট্রাম্পের। পুতিন জানিয়েছেন, তিনি জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে বসতে রাজি। জেলেনস্কি বৈঠক শেষে জানিয়েছেন, তিনিও পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে রাজি। 

আরও পড়ুন: চাঁদ দখল করার পরিকল্পনা করছে চীন! ২০৩৫ এর মধ্যে সেখানে শহর গড়তে চান শি জিনপিং...

 

উল্লেখ্য, এই গোটা বিষয়টি জানিয়েছেন ট্রাম্প নিজেও। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন পুতিনের সঙ্গে কথোপকথনের বিষয়টি। সঙ্গেই তিনি জানান, পুতিন এবং জেলেনস্কি বৈঠকে বসতে চলেছেন। আর সেই বৈঠক হয়ে গেলেই, হবে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক। যেখানে পুতিন এবং জেলেনস্কির সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন ট্রাম্প নিজেও। 

 

ট্রাম্প আগেই জানিয়েছেন, লক্ষ্য রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ থামানো। সোম-বৈঠকের পর তিনি জানান, এই বৈঠক ওই দুই দেশের জন্যই ভাল এবং গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, 'প্রায় চার বছর ধরে চলমান এই যুদ্ধের জন্য এটি ছিল খুবই ভাল এবং প্রাথমিক পদক্ষেপ। ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, সেক্রেটারি অফ স্টেট মার্কো রুবিও এবং বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ, রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে সমন্বয় করছেন।' দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধ থামিয়ে, শান্তি ফিরিয়ে আনতেই, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ১৫ আগস্ট আলাস্কায় বৈঠক সেরেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।  সেই বৈঠকের দিলেও নজর ছিল। 

 

একাধিক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদ সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী পাঁচটি শর্ত রেখেছিলেন পুতিন। মূল জোর দিয়েছিলেন ভূখণ্ড সংক্রান্ত শর্তে। সেগুলি কী কী-

জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকটি শর্তের মধ্যে অন্যতম ডনেৎস্ক এবং লুহান্‌স্ক কেন্দ্রীক শর্ত। ওই দুই জায়গা থেকে ইউক্রেন সেনা সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহারের দাবি রাশিয়ার।   বদলে রাশিয়া কী করবে? রাশিয়া খেরসন এবং জাপোরিঝিয়ায় ফ্রন্ট লাইন স্থগিত করবে এবং আরও নতুন অঞ্চল দখন করার জন্য যুদ্ধ চালাবে না। ডনেৎস্ক -এর ৭০ শতাংশ রাশিয়ান বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। ইউক্রেনের এখনও এই অঞ্চলের পশ্চিমতম শহরগুলির উপর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে, যা কিয়েভের সামরিক অভিযান এবং পূর্ব ফ্রন্টে প্রতিরক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানা যায়। এই বিষয়ে সোম-সাক্ষাতে জেলেনস্কি কী জানান, নজর সেদিকে। একই সঙ্গে সূত্রের খবর, ভাষা নিয়েও আলোচনা হয়ে থাকতে পারে। রাশিয়ার দীর্ঘদিনের দাবি, ইউক্রেনের একাধিক অংশে রাশিয়ার ভাষাকে স্বীকৃতি দেওয়া। 

সূত্রের খবর, রাশিয়ার উপর আমেরিকার বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা এবং ক্রাইমিয়া আমেরিকার এখনও রাশিয়ার আধিপত্য স্বীকার না করা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বিস্তর। সূত্রের খবর, পুতিন দাবি জানিয়েছেন, তিনি চান ন্যাটোর পূর্ব দিকে সম্প্রসারণ বন্ধ হোক, অর্থাৎ ইউক্রেনকে জোটে যোগদানের অনুমতি দেওয়া হবে না।

ওই বৈঠকের পরেই, জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক সারলেন ট্রাম্প।