আজকাল ওয়েবডেস্ক: ইরান-ইজরায়েলের যুদ্ধে তীব্র আকার ধারণ করেছে রবিবার ভোররাতের পর। আমেরিকার হামলার পর বদলে গিয়েছে বহু সমীকরণ। আশঙ্কা বেড়েছে মধ্যপ্রাচ্যে। এসবের মাঝেই, সোমবার ফের দুই দেশ হামলা চালিয়েছে দুই দেশের উপর।

সোমবার ইজরায়েল বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, আকাশপথে ইরানের অন্তত ছ’টি বিমানবন্দরে হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। ইজরায়েল বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ইরানের সামরিক বাহিনীর হেলিকপ্টার এবং অন্তত ১৫টি বিমান ধ্বংস করেছে তারা। দাবি, হামলা চালিয়ে এক প্রকার বিপর্যস্ত ইরানের বিমান পরিষেবা। 

ইজরায়েল বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ইরানও পালটা হামলা চালিয়েছে। ইরানের মিসাইল হামলার কথা জানানো হয়েছে ইজরায়েল ডিফেন্স সিস্টেমের পক্ষ থেকে।

?ref_src=twsrc%5Etfw">June 23, 2025

অন্যদিকে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনেই তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে মার্কিন হামলার বিষয়ে নিজের প্রথম প্রতিক্রিয়া সোশ্যাল মিডিয়া এক্স-এ শেয়ার করেছেন। তিনি লিখেছেন, 'শাস্তি অব্যাহত রয়েছে। ইহুদিবাদী শত্রুরা একটি বড় ভুল করেছে, একটি বড় অপরাধ করেছে; তাদের শাস্তি পেতে হবে এবং তাদের শাস্তি দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে; তাদের এখনই শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।' 

?ref_src=twsrc%5Etfw">June 23, 2025

রবিবার ইরানের ফোর্দো পারমাণবিক কেন্দ্র সংলগ্ন পাহাড়ের উপর ৩০,০০০ পাউন্ড ওজনের ‘বাঙ্কার-বাষ্টার’ বোমা ফেলেছে মার্কিন যুদ্ধবিমান। ফোর্দো ছাড়াও আরও দু'টি পারমাণবিক কেন্দ্রকে নিশানা করা হয়। ইরানের দাবি, ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর থেকে এই হামলা ছিল সবচেয়ে গুরুতর পশ্চিমি সামরিক পদক্ষেপ।


মার্কিন হামলার পরই ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান আমেরিকাকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, 'আমেরিকাকে তাদের আগ্রাসনের জবাব দিতেই হবে।' এক ফোনালাপে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাঁক্রোকেও তিনি এই একই কথা জানান। এই পদক্ষেপকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে বর্ণনা করেন তিনি।