আজকাল ওয়েবডেস্ক: জল্পনা, সম্ভাবনা ছিল। তা সত্যিতে পরিণত হল। মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর জানা গেল, কাবুলে অবস্থিত ভারতের টেকনিক্যাল মিশন বদলে গেল দূতাবাসে, জরুরি ভিত্তিতে। 

?ref_src=twsrc%5Etfw">October 21, 2025

মঙ্গলবার বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর সাম্প্রতিক ভারত সফরের সময় ঘোষিত সিদ্ধান্তের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে, সরকার তাৎক্ষণিকভাবে কাবুলে ভারতের টেকনিক্যাল মিশনকে ভারতের দূতাবাস হিসেবে ফিরিয়ে আনছে। এই সিদ্ধান্ত পারস্পরিক স্বার্থের সকল ক্ষেত্রে আফগান পক্ষের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর করার ভারতের সংকল্পকে তুলে ধরে। কাবুলে অবস্থিত ভারতের দূতাবাস আফগান সমাজের অগ্রাধিকার এবং আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আফগানিস্তানের ব্যাপক উন্নয়ন, মানবিক সহায়তা এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগে ভারতের অবদান আরও বৃদ্ধি করবে।‘

আরও পড়ুন: দীপাবলির রাতে পরপর গুলির আওয়াজ! রক্তস্রোত রাস্তায়, নর্দমা পরিষ্কার করাকে কেন্দ্র করে জোড়া খুন ...

এর আগে, ১০ অক্টোবর জানা গিয়েছিল, ভারত-আফগানিস্তান সম্পর্কের ক্ষেত্রে তৈরি হতে চলেছে এক নতুন সমীকরণ। জানা গিয়েছিল, কাবুলে ভারতের টেকনিক্যাল মিশন এবার পূর্ণাঙ্গ দূতাবাসে পরিণত হতে চলেছে। সেই সময়ে তালিবান প্রশাসনের বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি এসেছিলেন ভারতে। তাঁর সঙ্গে বৈঠকে এই ঘোষণা করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর। পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কে যখন একদিকে উত্তাপ বাড়ছে সেই পরিস্থিতিতেই আফগানিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করছে নয়াদিল্লি। 

এস. জয়শঙ্কর সেদিন বলেছিলেন, ‘আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে কাবুলে ভারতের টেকনিক্যাল মিশনকে ভারতীয় দূতাবাসের মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে। আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব, ভৌগোলিক অখণ্ডতা এবং স্বাধীনতার প্রতি ভারত সম্পূর্ণভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ ২০২১ সালে তালিবান কাবুল দখল করার পর ভারত তার দূতাবাস ও কনস্যুলেট বন্ধ করে দেয়। চার বছর পর এই দূতাবাস পুনরুদ্ধার ভারতের প্রতিবেশী কূটনীতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় তৈরি করল।

আরও পড়ুন: 'দিওয়ালি বোনাস' পাননি, রাগে-ক্ষোভে যা করলেন টোল কর্মীরা, কয়েকঘণ্টায় বড় ক্ষতি হয়ে গেল কেন্দ্রের!

এর আগে ২০২২ সালে ভারত কাবুলে একটি টেকনিক্যাল টিম পাঠিয়েছিল। সেই টিমের সদস্যরা সেই সময় থেকেই দূতাবাসে অবস্থান করছিলেন। মুত্তাকির সঙ্গে জয়শঙ্করের এই সাক্ষাৎ ২০২১ সালের পর থেকে ভারতের সঙ্গে তালিবান সরকারের সবচেয়ে উচ্চ পর্যায়ের যোগাযোগ হিসেবে ধরা হয়। পাকিস্তান ও তালিবান সরকারের মধ্যে সীমান্তবর্তী সন্ত্রাস ও আফগান শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন নিয়ে সম্পর্কের টানাপোড়েন ভারতের জন্য কাবুলের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর নতুন সুযোগ তৈরি করেছে।