আজকাল ওয়েবডেস্ক: স্থান ভেদে এবং ব্যক্তি ভেদে খাবারের পছন্দ ভিন্ন হয়। এমন কিছু মানুষ আছেন যাঁরা নিরামিষ খাবার খেতে খুব একটা পছন্দ করেন না, আবার এমনও আছেন যাঁরা তাদের খাদ্যতালিকায় গ্লুটেন-মুক্ত, নিরামিষ খাবার এবং সালাড যোগ করতে পছন্দ করে। আপনি কি জানেন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি নিরামিষাশী বসবাসকারী শীর্ষ ১০ দেশ কোনগুলি?

ওয়ার্ল্ড অ্যানিমেল ফাউন্ডেশনের পরিসংখ্যান অনুসারে, ভারত নিরামিষাশী দেশ হিসেবে প্রথম স্থানে রয়েছে, যেখানে আনুমানিক ৪২ শতাংশ জনসংখ্যা নিরামিষ খাবার খায়। নিরামিষ মতো খাবারের বিকল্পগুলি ভারতের সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় পটভূমি দ্বারা উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত হয়, তাই খাদ্যাভ্যাস কেবল ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয় নয় বরং ব্যক্তিগত বিশ্বাস এবং সামাজিক অনুশীলনেরও বিষয় হয়ে ওঠে। 

ইজরায়েলে, প্রায় ১৩ শতাংশ জনসংখ্যা নিরামিষ খাদ্যাভ্যাস মেনে চলে। দেশটি মধ্যপ্রাচ্যে নিরামিষাশী আন্দোলনের অগ্রদূত হয়ে উঠেছে।

কোন ১০টি দেশে নিরামিষাশীদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি?
ওয়ার্ল্ড অ্যাটলাস রিপোর্ট অনুযায়ী, ইজরায়েলের পরের স্থান তাইওয়ানের। এখানে প্রায় ১২ শতাংশ জনসংখ্যা নিরামিষভোজী। নিরামিষাশীদের দিক থেকে ইতালি ইউরোপের শীর্ষ দেশগুলির মধ্যে স্থান করে নিয়েছে, যেখানে প্রায় ১০ শতাংশ বাসিন্দা আমিষ-মুক্ত খাবার খায়। ওয়ার্ল্ড অ্যানিমেল ফাউন্ডেশনের অনুমান অনুযায়ী, অস্ট্রিয়ার প্রায় ৯ শতাংশ মানুষ নিরামিষভোজী। জার্মানিতেও প্রায় ৯ শতাংশ মানুষ নিরামিষাশী। একই স্থানে রয়েছে ব্রিটেন। এখানকার প্রায় ৯ শতাংশ মানুষ নিরামিষ খাবার খায় বলে গর্ব করে।

এই তালিকায় রয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিল-ও। ফুটবলের দেশ ব্রাজিলের প্রায় ৮ শতাংশ মানুষ নিরামিষভোজী। যুক্তরাজ্যও প্রায় ৯% জনসংখ্যা নিরামিষভোজী খাবার খায় বলে গর্ব করে।

আয়ারল্যান্ডে, প্রায় ৫-৬ শতাংশ মানুষ নিরামিষ খাবার খায়। অস্ট্রেলিয়ায়, প্রায় ৫.৫ শতাংশ মানুষ নিরামিষভোগী।

তবে, এই তালিকায় নেই পাকিস্তান।