আজকাল ওয়েবডেস্ক: এক সময়ের প্রযুক্তিনির্ভর, উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্নে বিভোর আমেরিকা আজ যেন অতৃপ্ত আত্মার অভিশপ্ত ভূমিতে পরিণত হয়েছে। বিংশ শতাব্দীর ৪০-এর দশকে বিশ্বখ্যাত চীনা নৃতাত্ত্বিক ফেই শিয়াওতং আমেরিকাকে বলেছিলেন “ভূত শূন্য দেশ”। আজকের চিত্র সম্পূর্ণ উল্টো।

সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে, প্রায় ৪৫ শতাংশ আমেরিকান ভূতের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে। এক দশক আগেও সংখ্যাটি ছিল মাত্র ২৫ শতাংশ। টিভির পর্দা জুড়ে এখন ছায়ামূর্তি, আত্মা আর আতঙ্ক – যেন বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি!

নিরাশার ছায়া নেমে এসেছে দেশ জুড়ে। আর্থিক বৈষম্য চূড়ান্ত, যুদ্ধের ক্ষত থেকে মুক্তি নেই, আর ভবিষ্যৎ আজ অনিশ্চয়তায় ঘেরা। সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা বিশ্বাস হারাচ্ছেন উন্নতির ধারায়। রবার্ট ব্লাই একসময় বলেছিলেন, “আমরা আমাদের অন্ধকার অতীত হজম করিনি, তাই সে ফিরে ফিরে আসে।”

ভূতের বিশ্বাস শুধুই কুসংস্কার নয়—এ এক জাতীয় আত্মদর্শনের পরিণতি। টিভির পর্দায় আজও মৃত অভিনেতারা জীবিত, শিশুকালের সেই হাসির অনুষ্ঠানগুলো আজ নীরব স্মৃতিচিহ্ন। ফেই শিয়াওতং বলেছিলেন, “জীবন অতীত, বর্তমান আর ভবিষ্যতের একত্র সংমিশ্রণ – এটাই ভূতের রূপ।” আর আজ, সেই রূপই যেন আধুনিক আমেরিকার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে, এক বিভীষিকাময় বাস্তবতায়।

ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। অতীত এখনও তাড়িয়ে বেড়ায়। এবং ভূতেরাও, আজ, ঘর খুঁজে পেয়েছে।