আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিশ্বকে চমক দিতে সর্বদাই তৈরি থাকে চিন। সেই তালিকায় এবার যুক্ত হতে চলেছে আরও একটি বিষয়। সেখান থেকে দেখা গিয়েছে মানুষের ব্রেনকে তারা একটি কম্পিউটারের সঙ্গে যুক্ত করে দিয়েছে। ফলে সেখান থেকে এআই-কে সঙ্গে নিয়ে তারা তৈরি করবে এবার নতুন রোবট। এই রোবট সকলকে শুধু চমক দেবে তাই নয়। এরা পরবর্তীকালে যদি তাদের সৈন্যবলের দরকার হয় তাহলে তারা সেখান থেকে এই সিস্টেমকে কাজে লাগাতে পারবে।
এআই-কে চিন একেবারে নতুনভাবে ব্যবহার করছেয। তাদের দেশের গবেষকরা মনে করছেন যেভাবে তারা এগিয়ে চলেছে সেখান থেকে সেদিন আর দূরে নেই যেখানে তারা ব্রেনের শক্তিকে একটি কম্পিউটারের মধ্যে এনে ফেলবে। সেখান থেকে তারা সেটি ছড়িয়ে দেবে চারিদিকে।
মানুষের দেহের সবথেকে জটিল অংশ হল ব্রেন। সেখানে এমন কাজ হয় যার বিশ্লেষণ সহজে করা যায় না। একমাত্র দেহের মধ্যে এই অংশটি এমনভাবে তৈরি যার কাছে বাকিরা একেবারে ডাহা ফেল করেছে। সেদিক থেকে দেখতে হলে চিন এই ব্রেনকেই নিজের সবথেকে বড় হাতিয়ার করতে চলেছে। যদি তাদের এই গবেষণা সঠিকভাবে এগিয়ে যেতে পারে তাহলে তারা প্রযুক্তিগত দিক থেকে বিরাট সফলতা অর্জন করবে।
মানুষের ব্রেনকে কপি করা সেখানকার কাজকে নকল করা হল সবথেকে জটিল বিষয়। তবে এবার সেই কাজটি করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন চিনের গবেষকরা। তারা দিনরাত এক করে মানুষের ব্রেনের শক্তিকে কম্পিউটারে আনতে চাইছেন। যদি একবার তারা এই কাজে সফলতা আনতে পারেন তাহলে সেখান থেকে তারা অতি সহজেই বিশ্বকে পদানত করতে পারবে।

চিনের মানব রোবট প্রযুক্তি দ্রুত বিকশিত হচ্ছে, এবং তারা বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। সম্প্রতি, চিন একটি হিউম্যানয়েড রোবট তৈরি করেছে, যার নাম ওয়াকার এস-টু, যা নিজের ব্যাটারি নিজে পরিবর্তন করতে পারে। এটি সম্ভবত প্রথম মানব রোবট, যা এই বৈশিষ্ট্য ধারণ করে। এই রোবটটি চীনের রোবট প্রস্তুতকারক কোম্পানি ইউবিটেক রোবোটিকস তৈরি করেছে।
আরও পড়ুন: চিনে ছড়াচ্ছে নতুন ভাইরাস, বিশ্ববাসীর নজর সেদিকেই
ওয়াকার এস-টু রোবটটি প্রায় ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি লম্বা, যা একটি মানুষের মতো দেখতে। এটি নিজে নিজেই তিন মিনিটেরও কম সময়ে ব্যাটারি পরিবর্তন করতে পারে, এবং এই প্রক্রিয়া চলাকালীন রোবটটি বন্ধ করার প্রয়োজন হয় না। চিন হিউম্যানয়েড রোবট তৈরিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান অর্জন করেছে, এবং এই ক্ষেত্রে তারা অন্যান্য দেশকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
চিনের রোবটগুলি বিভিন্ন শিল্পক্ষেত্রে যেমন - পলিশিং, ওয়েল্ডিং, স্প্রে পেইন্টিং এবং ভারী জিনিসপত্র ওঠানো-নামানোর কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। চিনের হিউম্যানয়েড রোবট বাজারের আকার ২০২৪ সালে ২.৭৬ বিলিয়ন ইউয়ান ছিল এবং ২০২৯ সালের মধ্যে এটি ৭৫ বিলিয়ন ইউয়ানে পৌঁছানোর পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। চিনের কিছু হিউম্যানয়েড রোবট যেমন - ওয়াকার এস-টু, সোফিয়া এবং অন্যান্যরা এআই এবং মেশিন লার্নিংয়ের ক্ষেত্রেও উন্নত এবং মানুষের মতো কাজ করতে সক্ষম।
