আজকাল ওয়েবডেস্ক:  ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি। গত সপ্তাহে গুলিবিদ্ধ হন। মৃত্যু হয়েছে বৃহস্পতিবার রাতে। হাদির গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছিল পদ্মাপারে। মৃত্যু সংবাদ আসতেই তা ছড়িয়ে পড়ে দাবানলের মতো। বৃহস্পতিবার রাতভর তাণ্ডব চলেছে ঢাকা-সহ দেশের একাধিক জায়গায়। হামলা চালানো হয়েছে সংবাদ  মাধ্যমে। জ্বলে খাক 'প্রথম আলো'র অফিস। বৃহস্পতির পরে, শুক্রবারেও পরিস্থিতি উত্তাল। 

বৃহস্পতির রাতভর তাণ্ডবের পর, শুক্রবার সকাল থেকে পুনরায় ছড়াচ্ছে বিক্ষোভের আঁচ।  বিবিসি বাংলা সূত্রে খবর, শাহবাগে শুরু হয়েছে বিপুল জমায়েত। অপর এক সংবাদ  মাধ্যম সূত্রে খবর, শুক্রবার সকাল সাতটা থেকে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে উত্তেজিত জনতা। 'চ্যানেল টেন' সূত্রে খবর, বিক্ষোভকারীদের গলায় স্লোগান, জ্বালো জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘গোলামি না আজাদি, আজাদি-আজাদি'। ভারত বিরোধী স্লোগানও উঠেছে জমায়েত থেকে। সূত্রের খবর তেমনটাই। বেলা বাড়তেই বাড়তে থাকে জমায়েত। সকাল দশটার দিকে বিক্ষোভ প্রবল হয়। 

উল্লেখ্য, ওসমান হাদির মৃত্যুর পর, বৃহস্পতিবার রাতেই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন, বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান, মহম্মদ ইউনূস। হাদির মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় শোকের ঘোষণা করেন। ইউনূস শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন। প্রথম আলো সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার জাতীয় উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে ইউনূস জানান, 'দেশের সব সরকারি আধা সরকারি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি-বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলিতে শনিবার জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।' 

অন্যদিকে, বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে বিক্ষোভকারীরা ভারতের উপদূতাবাসে হামলা চালায়। ইট-পাথর ছোড়া হয়। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে চট্টগ্রামে খুলশী এলাকায় মিশনের অফিসের বাইরে শুরু হয় অবস্থান কর্মসূচি। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ ও ভারতবিরোধী স্লোগানও ওঠে। যমুনা টিভি সূত্রে খবর, ঘটনায় ১২ জন বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে।

 

অন্যদিকে, অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর, দ্য ডেলি স্টারের অফিস থেকে উদ্ধার করা  হয়েছে ২৫ সাংবাদিককে। সংবাদপত্রের অফিসে আগুন লাগানোর পর, সাংবাদিকরা কোনওমতে অফিসের ছাদে আশ্রয় নেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্য ডেলি স্টারের সাংবাদিক জাইমা ইসলাম লেখেন, 'আমি আর শ্বাস নিতে পারছি না। প্রচন্ড ধোঁয়া, আমি ভিতরে, আপনারা আমাকে মেরে ফেলছেন।' উদ্ধার হওয়ার পর এক সাংবাদিক বলেন, 'ভাবতেই পারিনি বেঁচে ফিরব।' সূত্রের খবর, খুলনায় এক যুবককে গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠেছে। খুনের অভিযোগ ময়মনসিংহেও।