আজকাল ওয়েবডেস্ক: ২৮ ঘণ্টার জার্নি শেষ। স্পেস স্টেশনে প্রথম ভারতীয়র পদার্পন। ইতিহাস লিখলেন লখনউয়ের ছেলে শুভাংশু। ভারতীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকেল চারটা নাগাদ আইএসএস, আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে নামে ড্রাগন মহাকাশযান। কয়েকঘণ্টা আগে থেকেই শুরু হয় এর ডকিং প্রক্রিয়া। প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত জানা গিয়েছে, চলছে মহাকাশযানের পোস্ট ডকিং প্রক্রিয়া। সফল ভাবে মহাকাশ সেন্টারে পদার্পন অ্যাক্সিয়ম-৪-এরও।
বুধবার মহাকাশ স্টেশনের পথে উড়ান শুরু হয় শুভাংশুদের মহাকাশযানের। চার সদস্যের অভিযানের কমান্ডার হিসাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন নাসার প্রাক্তন নভশ্চর তথা অ্যাক্সিয়ম স্পেসের মানব মহাকাশযানের ডিরেক্টর রেগি হুইটসন। এছাড়াও রয়েছেন পোল্যান্ডের স্লায়োস উজ়নানস্কি-উইসনিউস্কি এবং হাঙ্গেরির টিবর কাপু। ১৪ দিন তাঁরা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে থাকবেন। সেখানে অন্তত ৬০টি পরীক্ষানিরীক্ষা চালাবেন তাঁরা।
ভারতীয় সময় অনুযায়ী বুধবার বেলা ১২টা ১ মিনিট নাগাদ শুভাংশুদের নিয়ে উড়ান দেয় স্পেস এক্সের মহাকাশযান ‘ড্রাগন’। নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টারের ৩৯এ লঞ্চ কমপ্লেক্স থেকে ‘ফ্যালকন ৯’ রকেটের সাহায্যে ড্রাগনকে মহাকাশে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে মহাকাশ স্টেশনে পদার্পন করে ড্রাগন মহাকাশযান।
নাসার ‘অ্যাক্সিয়ম-৪’ অভিযানে পাইলটের ভূমিকায় শুভাংশু। তিনিই মহাকাশযানটি পরিচালনা করেছেন। বায়ুসেনার ক্যাপ্টেন হওয়ায় এর আগে এএন-৩২, জাগুয়ার, হক, মিগ-২১, সু-৩০-সহ নানা ধরনের যুদ্ধবিমান চালানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে শুভাংশুর। কিন্তু মহাকাশযান এই প্রথম! এজন্য দীর্ঘ দিন ধরে স্পেসএক্স এবং ‘অ্যাক্সিয়ম স্পেস ইনকর্পোরেশন’-এর কাছে প্রশিক্ষণও নিতে হয়েছে তাঁকে। শুভাংশু দ্বিতীয় ভারতীয় যিনি মহাকাশে গেলেন। শুভাংশু প্রথম ভারতীয়, যিনি মহাকাশ স্টেশনে পদার্পন করলেন। ইতিহাস লিখলেন লখনউয়ের ছেলে।
