আজকাল ওয়েবডেস্ক: একবালপুর থানার অন্তর্গত এক মর্মান্তিক ঘটনায় অ্যাসিড খাওয়ার কারণে এক গৃহবধূর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। মৃতার নাম নাসিমা বেগম (৪৮), স্বামী জাহাঙ্গীর আলম। তিনি একবালপুর লেন এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ সকাল আনুমানিক ৯টা ৩০ মিনিট নাগাদ নাসিমা বেগম নিজ বাসভবনে অ্যাসিড খাওয়ার কারণে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে দ্রুত একবালপুর নার্সিং হোমে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এই দিনেই বেলা আনুমানিক ১১টা ৩০ মিনিটে তাঁর মৃত্যু হয়।

ঘটনার পর প্রাথমিকভাবে একবালপুর থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর (ইউডি) মামলা রুজু করা হয় (ইউডি কেস নং ৫১/২০২৫)। মৃতদেহের পরীক্ষা সম্পন্ন করে ময়নাতদন্তের জন্য এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।

পরবর্তীতে মৃতার বোন সাহিনা বেগম (৪৬) একবালপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি দাবি করেন, নাসিমা বেগমকে দীর্ঘদিন ধরে কয়েকজন ব্যক্তি মানসিকভাবে নির্যাতন ও চরম চাপের মধ্যে রাখছিলেন, যার জেরেই তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ আত্মহত্যায় প্ররোচনার ধারায় মামলা রুজু করে।

এই ঘটনায় একবালপুর থানা কেস নং ৪১২, তারিখ ১৬.১২.২০২৫, ধারা ১০৮/৩(৫) বি.এন.এস. অনুযায়ী মোট পাঁচজন অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্তরা হলেন জাভেদ একবাল (৫৭), মোঃ ওয়াসিম (২৮), ইয়াসমিন বেগম (৫৭), সালমা খাতুন (৪৫) এবং ফারজানা হোসেন (৩৮)।

পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ অনুযায়ী, ১৬ ডিসেম্বর সকাল আনুমানিক ৯টা ১৫ মিনিটের আগে অভিযুক্তরা পরস্পরের সাধারণ অভিপ্রায়ে নাসিমা বেগমের উপর তীব্র মানসিক চাপ সৃষ্টি করেন, যার ফলস্বরূপ তিনি অ্যাসিড খেয়ে  আত্মহত্যা করতে বাধ্য  হন।

তদন্তে অগ্রগতি হিসেবে পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার দিন বিকেল আনুমানিক ৪টা ১৫ মিনিট নাগাদ অভিযুক্ত পাঁচজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি মৃতার বাসভবন থেকে একটি অ্যাসিডের পাত্র এবং তাঁর ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

ঘটনার তদন্ত চলছে এবং পুলিশ বিষয়টির সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে বলে জানানো হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তে রিপোর্ট এলেই ব্যাপারটা পরিষ্কার হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।