আজকাল ওয়েবডেস্ক: গবেষকদের হাতে চলে এল অবাক করা এক ফসিল। এটির বয়স আনুমানিক ৬২ মিলিয়ন বছর। এবার সেখান থেকে সামনে এল অন্য তথ্য।


ডাইনো যুগ শেষ হওয়ার পর কীভাবে পৃথিবীতে স্তন্যপায়ীদের আবির্ভাব হয়েছিল তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা বহু বছর ধরে গবেষণা করে আসছিলেন। তবে এবার তাদের হাতে চলে এল ৬২ মিলিয়ন আগের একটি ফসিল। এই ফসিল থেকে তারা এই রহস্যের সমাধান করতে পারবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
মেক্সিকো শহর থেকে এই ফসিলটি পাওয়া গিয়েছে। একে গবেষণা করে মনে করা হচ্ছে এটির বয়স ৬২ মিলিয়ন বছর। যে ধরণের কঙ্কাল হাতে এসেছে সেখান থেকে বলা যায় সেইসময় পৃথিবীতে নতুন ধারার প্রাণীরা ধীরে ধীরে আসছিল। সেই তালিকায় সবার আগে ছিল স্তন্যপায়ীরা। 


গাছ থেকে শুরু করে মাটি সর্বত্রই এই নতুন ধারার প্রাণীরা নিজেদের মানিয়ে নিতে শুর করেছিল। যেখানে পৃথিবীর পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করছিল। সেখানে এই প্রাণীরা বেশ আরামের সঙ্গেই এই নতুন পরিবেশে মানিয়ে নিতে পারছিল। ফলে সেইসময় থেকেই পৃথিবীতে স্তন্যপায়ীদের প্রভাব ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করে।


যে রকমের কঙ্কাল হাতে এসেছে তা থেকে বোঝা যায় এই ধরণের ফসিলগুলি এত বছর পরেও একেবারা অবিকৃত থেকে গিয়েছে। ডাইনো যুগের পর যেভাবে পৃথিবীর পরিবেশ তৈরি হয়েছিল সেখান থেকে এই প্রাণীরা অতি সহজেই কীভাবে সেখানে মানিয়ে নিতে পেরেছিল সেটাই সবথেকে বড় রহস্য।

 


এদের সবথেকে বড় বৈশিষ্ট্য ছিল এরা গাছে বাস করতে পারত। আবার প্রয়োজনে মাটিতেও নিজের ইচ্ছামতো চলতে পারত। এদের এই দুই শক্তির ফলে অতি সহজেই পৃথিবীতে সেই সময় থাকা সহজ করে দিয়েছিল। পাশাপাশি দ্রুত বংশবিস্তার করার ক্ষমতা এদেরকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছিল। 

 


গাছে থাকার ফলে এদের হাতের নখ অতি ধারালো ছিল। ফলে সেখান থেকে এরা অতি সহজেই নিজেদের শিকারও ধরে নিত। সেটাও বাড়তি শক্তি দিয়েছিল সেই যুগের স্তন্যপায়ীদের। মনে করা হয় এরা বেশিরভাগ সময় গাছেই থাকত।