আজকাল ওয়েবডেস্ক: দুধ একটি আদর্শ খাবার। বড় এবং ছোট সকলের জন্য। আপনার শরীরের জন্য ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন, পটাশিয়াম, ভিটামিন ডি'র যোগান দেবে দুধ। এছাড়াও রোগ প্রতিরোগ ক্ষমতা, হাড়ও দাঁত মজবুত করা এসব কাজগুলোও করে থাকে।
এখন প্রশ্ন হলো দুধ কীভাবে খাবেন? আজকাল বাজারে প্যাকেটজাত পাস্তুরিত দুধ পাওয়া যায়। পাস্তুরিত করা থাকে বলে সরাসরি এই দুধ খেতে পারে মানুষ। ফুটানোর দরকার নেই। দুধ জীবাণুমুক্ত করার পদ্ধতিকে পাস্তুরাইজেশন বলে। জীবানুমুক্ত দুধকে পাস্তুরিত দুধ বলে। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, কাঁচা দুধ না ফুটিয়ে খাওয়া উচিত নয়। কাঁচা দুধে নানারকম জীবাণু থাকে। উচ্চ তাপমাত্রায় দুধ ফুটিয়ে নিলে জীবাণু মারা যায়।
কাঁচা দুধে ই-কোলাই, সালমোনেলার মতো ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়া থাকে। এই ব্যাক্টেরিয়া শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ভারতের মত দেশে বেশিরভাগ শিশুরা ছেলেবেলা থেকেই দুধ খেয়ে বড় হয়। তবে তাদেরকে কাঁচা দুধ কখনও দেওয়া হয় না। সেখানে যে পরিমান জীবানু থাকে তারফলে শিশুর দেহে নানা ধরণের প্রতিক্রিয়া তৈরি হতে পারে। তাই আগে থেকেই সেই দুধকে ফুটিয়ে নিয়ে ঠান্ডা করে তারপর খাওয়ানো হয়।
দুধের মধ্যে যে জীবানু থাকে সেগুলি সমেত যদি খেয়ে নেওয়া হয় তাহলে দেহে নানা ধরণের সমস্যা তৈরি হতে পারে। পেটের নানা ধরণের সমস্যা এর থেকে তৈরি হবে। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি জীবানু রয়েছে যেগুলি স্থায়ীভাবে দেহে বাসা করে নেবে। তখন অন্য নানা ধরণের সমস্যা তৈরি হবে। তাই আগে থেকে দুধের পুষ্টিগুন ধরে রাখতে হলে তাকে গরম করে তারপর ঠান্ডা করেই খেতে হবে। অনেক সময় আবার দেখা যায় কিছু মানুষ থাকে যারা দুধ খানিকটা গরম থাকতে থাকতেই খেয়ে নিয়ে পছন্দ করেন। তারাও দুধের পুষ্টিগুন পুরোটাই পেয়ে থাকেন।
