আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাজার ছেয়ে রয়েছে ৫০ পয়সা, এক টাকা, দুই টাকা, পাঁচ টাকা, ১০ টাকা এবং ২০ টাকার কয়েনে। কোনওদিন সেসব কয়েন ভালো করে খতিয়ে দেখেছেন? দেখলেই দেখবেন, সেগুলির কোনটিতে রয়েছে তারা চিহ্ন, কোনওটিতে হীরের ছাপ বা বিন্দু। কেন এই চিহ্নগুলি ব্যবহার করা হয়? 

ভারতে মুদ্রা বা কয়েন তৈরির চারটি ট্যাঁকশাল রয়েছে। এগুলি হল- মুম্বই, হায়দ্রাবাদ, কলকাতা এবং নয়ডা। প্রতিটি ট্যাঁকশাল থেকেই সব ধরনের কয়েক তৈরি হয়। তারপর তা বাজারে ছাড়া হয়। অর্থাৎ, ১০ টাকার কয়েন এই চারটি ট্যাঁশাল থেকেই ছাপা হয়ে থাকে। এগুলির সবকটার একই মূল্য, আকার, ওজন এক। তাহলে, বুঝবেন কীভাবে যে কোন কয়েক কোন ট্য়াঁকশাল থেকে ছাপা হয়েছে?

এক্ষেত্রে কয়েনে থাকা চিহ্নগুলি তাৎপর্যবাহী। কয়েনের যে অংশে মুদ্রা তৈরির বছর লেখা থাকে, তার ঠিক নীচে একটি ছোট চিহ্ন থাকে। এই চিহ্নই নির্দেশ করে যে, ওই কয়েন কোন ট্যাঁকশালে তৈরি হয়েছিল। উদাহরণস্বরূপ, যদি কোনও মুদ্রায় হীরে,  B বা M চিহ্ন থাকে, তবে সেটি মুম্বই ট্যাঁকশালে তৈরি করা হয়েছিল। একইভাবে, যদি মুদ্রায় কোনও চিহ্ন না থাকে, তবে সেটি কলকাতা ট্যাঁকশালে তৈরি হয়েছে। যদি কোনও কয়েনে তারা চিহ্ন থাকে, তবে ওই কয়েনটি হায়দ্রাবাদে তৈরি হয়েছে। নয়ডা ট্যাঁকশালে তৈরি কয়েনে একটি সাধারণ বিন্দু চিহ্ন থাকে।  

উল্লেখ্য, ভারতের মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন ট্যাঁকশাল হল কলকাতা।