আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতের বিভিন্ন সমুদ্রতীরের রাজ্যগুলিতে এবার শিওরে সংক্রান্তি। গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের হাত ধরে ভারতের বিভিন্ন সমুদ্রের জলও বাড়ছে। সমীক্ষা থেকে দেখা গিয়েছে কেরালার বিভিন্ন উপকূলে সমুদ্রের উচ্চতা ধীরে ধীরে বাড়ছে। কেরালার ৫৫ শতাংশ মানুষই সমুদ্রতীরে বাস করেন। ফলে যদি সেখানে সমুদ্রের জল বাড়তে থাকে তাহলে সমস্যায় পড়বেন সেখানকার ৯.৩ মিলিয়ন মানুষ।
একই পরিস্থিতি তৈরি হবে মুম্বইতেও। সেখানে দেখা গিয়েছে সমুদ্রের জল ধীরে ধীরে বাড়ছে। ২০৪০ সালের মধ্যে মুম্বইয়ের সমুদ্রের উচ্চতা ১০ শতাংশ বাড়বে। ফলে সেখানেও রয়েছে অশনি সঙ্কেত। কোচি, বেঙ্গালুরু, পুরীর সমুদ্রের জল প্রতি বছর ১ শতাংশ হারে বাড়ছে। ফলে আগামী ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে এখানকার পরিস্থিতিও খুব একটা ভাল থাকবে না।
তবে কেন ভারতের এই সমুদ্রগুলির জল বাড়ছে তা জানার জন্য বিশেষজ্ঞ হওয়ার দরকার নেই। যেভাবে বিশ্বের তাপমাত্রা প্রতি বছর বাড়ছে সেদিক থেকে দেখতে হলে এই জলের হার বাড়ছে। বরফ প্রতি বছর গলছে। ফলে গলে যাওয়া বরফ প্রতিসময় জলের পরিমান বাড়িয়ে তুলেছে। যে দেশগুলি অনেক বেশি নদীমাতৃক সেগুলি অতি দ্রুত জলের তলায় চলে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকছে। যারা সমুদ্র তীরে বাস করেন তাদের কাছে এই খবর অনেক বেশি চিন্তার।
যদিও ভারত গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের সঙ্গে লড়াই করে যাচ্ছে। চিরাচরিত শক্তির ব্যবহার কমিয়ে আমরা এখ অচিরাচরিত শক্তির দিকে জোর দিয়েছি। ভারতের এখন প্রধান টার্গেট দেশের ৫০ শতাংশ বিদ্যুৎ যেন অচিরাচরিত শক্তি থেকে তৈরি করা যায়। পাশাপাশি ভারতের অরণ্যকে যদি সঠিকভাবে সংরক্ষণ করে রাখা যায় তাহলে সেখান থেকেও পরিবেশকে বাঁচানোর কাজ চলবে। জ্বালানিচালিত গাড়ির বদলে যাতে বিদ্যুৎচালিত গাড়ির ব্যবহার করা যায় সেদিকে জোর দিচ্ছে ভারতের পরিবহন মন্ত্রক।
এমএইচএ রিপোর্ট অনুসারে ভারতের সমুদ্রসীমান্ত বিগত ৫০ বছরে অনেকটাই বেড়েছে। যেখানে ১৯৭০ সালে এটি ৭,৫১৬ কিলোমিটার ছিল সেটি ২০২৩-২৪ সালে হয়েছে ১১,৯৮ কিলোমিটার। পশ্চিমবঙ্গ, গুজরাট, গোয়, পুদুচেরির মত জায়গায় বেড়েছে সমুদ্র সীমান্ত।
