আজকাল ওয়েবডেস্ক: এ ঘটনা নৃশংসতাকেও হার মানায়। কাগজপত্র দেওয়ার নাম করে এক মহিলাকে দপ্তরে ডেকে এনে তাঁকে মদ খেতে বাধ্য করলেন এক প্রমোটার ও তাঁর সহযোগী। এরপর সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ তুঙ্গে উঠলে, ওই মহিলাকে শ্বাসরোধ করে ওই দু'জন খুন করেছে বলে অভিযোগ। এখানেই শেষ নয়। শেষপর্যন্ত মহিলার দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়। প্রমান লোপাটে দেহটি নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের ইটাওয়ায়। হত্যা কাণ্ডের প্রায় পাঁচদিন পর এই ঘটনার বিষয়টি জানাজানি হয়। ইতিমধ্যেই পুলিশ অভিযুক্ত শিবেন্দ্র যাদব (২৬)
এবং তাঁর সহযোগী গৌরব-কে (১৯) গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত শিবেন্দ্র যাদব এবং তার সহযোগী গৌরব প্রথমে ২৫ বছর বয়সী অঞ্জলিকে সম্পত্তির কাগজপত্র দেওয়ার জন্য ডেকে পাঠান। এরপর তাঁরা, তাঁকে মদ খেতে বাধ্য করেন, তারপর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পুড়িয়ে দেয়। এবং তাঁর দেহ নদীতে ফেলে দেয়। পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ অঞ্জলির মৃতদেহ শনিবার নদীর ধার থেকে বিকৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
অভিযুক্ত শিবেন্দ্র তাঁর বাবা এবং স্ত্রীকে ভিডিও কল করে অঞ্জলীর মৃতদেহ দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন।
এই ঘটনার পর মৃত অঞ্জলির পরিবারের সদস্যরা একটি ড্রেনের কাছে তাঁর দগ্ধ স্কুটিটি খুঁজে পান। পরে প্রমোটার শিবেন্দ্রের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ এনে অভিযোগ দায়ের করেন থানায়। যার ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে।
মৃতার বোন বোন কিরণ জানিয়েছেন, অভিযুক্ত প্রমোটার শিবেন্দ্রকে জমির জন্য অঞ্জলি ছয় লাখ টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই জমির কাগজপত্র আর দিচ্ছিলেন না প্রমোটার। অঞ্জলির বোনের দাবি, এরপর সে কাগজপত্র দেওয়ার অজুহাতে দিদিকে ডেকে পাঠিয়ে হত্যা করেছে।
