আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রেমের ফাঁদ পাতা ভুবনে। সাধে কী আর বলে! প্রেমের জালে জড়িয়ে শেষপর্যন্ত অপহৃত হলেন প্রৌঢ়। পরে অবশ্য পুলিশের তৎপরতায় উদ্ধার করা গিয়েছে তাঁকে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে। এই ঘটনায় তিন জনকে হ্যানিট্র্যাপ বিছানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

 

 

জানা গিয়েছে, ৫০ বছরের ওই মাঝবয়সী প্রেমে পড়েন এক তরুণীর। কিছুদিন কথাবার্তা হওয়ার পর ঠিক হয়েছিল দেখা করবেন দু'জনে। সেই মতো দেখা করতে যান এক সন্তানের বাবা ওই ব্যক্তি। সেখান থেকেই তাঁকে অপহরণ করা হয়। এরপর ছেলের ফোনে মুক্তিপণ হিসেবে দাবি করা হয় তিন লাখ টাকা। এক লাখ টাকা দিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়। টাকার অঙ্ক নিয়ে বচসা হয় দু'পক্ষের। কিন্তু তিন লাখের কমে রাজি হয়নি অপহরণকারীরা। 

 

 

পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম লাল্লু চৌবে। ললিতপুরের বাসিন্দা তিনি। বৃহস্পতিবার ঘটে ঘটনাটি। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর ছেলে। তদন্তে নামে পুলিশ। ওই ব্যক্তিকে খুঁজে বের করার জন্য পুলিশের একাধিক দল গঠন করা হয়। এরপর পরিকল্পনা মতো, আবার লাল্লু চৌবের ছেলের কাছে মুক্তিপণ চেয়ে ফোন এলে তিনি রাজি হয়ে যান ক্ষতিপূরণ দিতে। এরপর শনিবার একজন কনস্টেবল ভিকটিমের ছেলের পরিচয় দিয়ে মুক্তিপণ দিতে যান।

 

 

সেখানে পৌঁছলে অভিযুক্তদের একজন তাঁকে এমন জায়গায় নিয়ে যায় যেখানে অপহৃত ব্যক্তিকে আটক করে রাখা হয়েছিল। পুলিশ লোকেশন ট্র্যাক করতে শুরু করে। কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশের বাকি দলটি পৌঁছে যায় সেখানে। উদ্ধার করা হয় লাল্লু চৌবেকে। গ্রেফতার হয় তিনজন। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁদের নাম, কিরণ (৩৫), অখিলেশ আহিরওয়ার (৩০) এবং সতীশ সিং বুন্দেলা (২৬)। 

 

 

অভিযুক্তেরা জেরায় জানিয়েছে, কিরণ ফোন করত ওই ভদ্রলোককে। তারপর প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে দেখা করার কথা বলা হয়। সেই মতো লোকটিও আসে। তারপরই পূর্বপরিকল্পনা মতো কাজ হয়। জানা গিয়েছে, তাদের এই গ্যাং -এ আরও প্রচুর মহিলা আছে। তারা এভাবেই ছেলেদের ফোন করে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে ট্র্যাপে ফেলে। পুরো দলটির খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে উত্তরপ্রদেশের পুলিশ।