আজকাল ওয়েবডেস্ক: সাপ। নামটি শুনলেই গোটা দেশে যেন এক অন্য ধরণের শিহরণ জেগে ওঠে। বিশ্বের প্রতিটি দেশেই সাপেদের রাজত্ব রয়েছে। সরীসৃপ প্রাণীদের মধ্যে এই প্রাণী যেকোনও পরিবেশে সহজে মানিয়ে নিতে পারে।
 
 তবে কথায় আছে বাপের যেমন বাপ রয়েছে ঠিক তেমনই সাপেদেরকে কাবু করার নানা রাস্তাও রয়েছে। ভারতের কেরালাতে রয়েছে ইরুলা উপজাতি। এরা শুধু কেরালা নয় কর্ণাটক, তামিলনাড়ুতেও ছড়িয়ে রয়েছে। বিষধর সাপেদের কীভাবে বশ মানাতে হয় সেটা এই উপজাতির কাছে একেবারে জলভাতের সমান।
 
 এখানেই শেষ নয়, যুগের পর যুগ ধরে এই উপজাতির মানুষরা সাপেদের বিষ বের করতেই সিদ্ধহস্ত। এটি শুনতে অবাক হলেও জানা গিয়েছে এই জাতির শিশুরা পর্যন্ত বিষধর সাপকে অতি সহজে ধরে তাদের মুখ থেকে বিষ বের করতে পারে। এটি একটি অতি মারাত্বক কাজ। তবে এদের এই কাজটি সাপের বিষ তৈরি করতে চিকিৎসকদের সহায়তা করে।
 
 অন্যদের কাছে যেখানে সাপ একটি অতি ভয়ের বিষয়। ইরুলা উপজাতির কাছে সেটা একেবারে সহজ কাজ। তারা সারাদিন সাপ নিয়েই নড়াচড়া করে। তারা মনে করে সভ্যতাকে ধরে রাখতে সাপের ভূমিকা রয়েছে। তারা জানিয়েছে ৭০ শতাংশ সাপের বিষ ক্ষতিকর নয়। শুধুমাত্র ৩০ শতাংশ সাপের বিষ মানুষের মৃত্যু নিশ্চিত করে। বিষধর সাপের একটি ছোবল একজন সুস্থ ব্যক্তিকে পঙ্গু, দেহ বিকল এমনকি কয়েকঘন্টার মধ্যে মৃত্যুও ডেকে আনতে পারে।
 
 তবে ইরুলা উপজাতির প্রতি পুরুষ, মহিলা, শিশুরা অতি সহজেই সাপকে হাতে ধরে ফেলে। এই কায়দা তারা ছোটোবেলা থেকেই শিখে আসছে। সাপের কামড় খেলেও এরা সাপ ধরা থেকে নিজেদেরকে আটকাতে পারে না। ভারতের মতো দেশে বিষধর সাপেদের তালিকায় রয়েছে কিং কোবরা, ক্রাইট, রাসেল ভাইপার, ইন্ডিয়ান স স্কেলস ভাইপার। তবে এইসব সাপকে অতি সহজেই হাতে ধরে ফেলে তাদের বিষ বের করে নিয়ে আসে এই ইরুলা উপজাতির মানুষরা। সেই বিষকে তারা একটি জারে সংরক্ষণ করে রাখে। পরে তা নিয়ে সাপের বিষ তৈরি হয়। 
