আজকাল ওয়েবডেস্ক : প্রতিবারই কাশ্মীরে প্রচুর তুষারপাত ঘটে থাকে। সেখান থেকে এই গোটা এলাকায় তীব্র শীত অনুভব হয়। পরবর্তীকালে এই এখান থেকে গোটা এলাকার জলের চাহিদা মেটে। তবে চলতি বছরে যেন সেই ছবি একেবারে উধাও হয়ে গিয়েছে। চেনা ছবি নেই কাশ্মীরের আনাচা কানাচে। ফলে ফেব্রুয়ারিতেই তীব্র জলের সঙ্কট হতে চলেছে গোটা উপত্যকায়।
জম্মু-কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ক্রমেই বাড়ছে। কার্গিলে যখন এই সময়ে চারদিক শুধু বরফের পুরু স্তরে ঢেকে থাকে, সেই চেনা ছবিও দেখা যাচ্ছে না সেখানে। কার্গিলের দ্রাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা প্রায় ১০ ডিগ্রির কাছে রয়েছে। ফলে জম্মু-কাশ্মীরের যে আকর্ষণ, এবার তা থেকে প্রায় বঞ্চিত হতে হচ্ছে প্রতিটি পর্যটককে।
গোটা ডিসেম্বর এবং জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ একেবারে শুকনো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কাশ্মীরে। আগামী দিনে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। গত তিন-চার বছর ধরে তুষারপাতের একটি ধরণ দেখা যাচ্ছিল। নির্ধারিত সময়ের আগেই তুষারপাত হচ্ছিল, কিন্তু এবার সেটাও দেখা যাচ্ছে না। এমনিতেই এবার শীতে লা নিনা তার নিজের জায়গা ধরে রাখতে পারেনি। তার প্রভাব পড়েছে সর্বত্র। এর বিরাট প্রভাব পড়েছে কাশ্মীরের বিভিন্ন অংশেও। গোটা ডিসেম্বরে ৭৯ শতাংশ ঘাটতি ছিল বৃষ্টিপাতের। যার জেরে তাপমাত্রাও খুব একটা নামেনি। ফলে সে ভাবে তুষারপাতও হচ্ছে না।
আর এইসবের সরাসরি প্রভাব পড়েছে কাশ্মীরের জলের চাহিদায়। যেখানে ফেব্রুয়ারি মাসের শেষে জলের বিরাট আকাল দেখা গিয়েছে কাশ্মীরের বিভিন্ন উপত্যকায়। স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করছেন যেভাবে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেখানে আগামী গরমে বিরাট জলের সমস্যায় পড়বেন তারা।
এই ধরণের পরিস্থিতি কাশ্মীরে এই প্রথম। যারা এই সময় এখানে ঘুরতে আসেন তাদের তো মাথায় হাত। এ কোন পরিস্থিতি দেখছেন তারা। ফলে মুখ ব্যাজার করে তারা অল্পদিনের মধ্যেই ফিরে যাচ্ছেন নিজের ঘরে। ফলে এখানকার পর্যটন ব্যবসা বিরাট ক্ষতির সামনে। তারা আগামীদিনে কীভাবে এখান থেকে মুক্তি পাবেন তা নিয়েই চিন্তায় কাটাচ্ছেন।
