আজকাল ওয়েবডেস্ক: সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ফিরে মুম্বই পুলিশের কাছে বয়ান দিলেন অভিনেতা সইফ আলি খান। হামলার দিন ঠিক কী ঘটেছিল? সে সম্পর্কে উঠে এসেছে নতুন তথ্য। মুম্বই পুলিশের কাছে দেওয়া বয়ানে সইফ জানিয়েছেন, সেই রাতে কীভাবে তিনি এবং তাঁর পরিবার আক্রান্ত হয়েছিলেন অভিযুক্ত দুষ্কৃতী শরিফুলের হাতে। বয়ানে সইফ জানিয়েছেন, হামলার দিন তিনি, তাঁর স্ত্রী করিনা এবং তাঁদের দুই সন্তান তৈমুর ও জেহর সঙ্গে বাড়িতেই ছিলেন। রাতে আচমকাই বাড়ির পরিচারিকা এলিমা ফিলিপসের চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায় তাঁদের। জানা গিয়েছে, এলিমা করিনার ছোট ছেলে জেহ-র দেখাশোনা করেন। ঘটনার সময় জেহ এলিমার সঙ্গেই ছিল।
চিৎকার শুনে সইফ এবং করিনা দ্রুত এলিমার ঘরে ছুটে যান। সেখানে গিয়ে তাঁরা দেখেন, এক দুষ্কৃতীর সঙ্গে এলিমার তীব্র কথা কাটাকাটি চলছে। সইফ জানান, সবার আগে তিনি জেহকে দুষ্কৃতীর হাত থেকে বাঁচাতে তার দিকে ছুটে যান। ওই দুষ্কৃতীকে নিরস্ত্র করার চেষ্টা করেন। তখনই তাঁর ওপর ছুরি দিয়ে আক্রমণ করে অভিযুক্ত। সইফ দুষ্কৃতীকে জাপটে ধরার চেষ্টা করলেও ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করে পালানোর চেষ্টা করে ওই ব্যক্তি। চিৎকারে বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা ছুটে এসে দুষ্কৃতীকে ধরার চেষ্টা করলেও সে পালিয়ে যায়। উল্লেখ্য, পরে পরিচারিকা এলিমা পুলিশকে জানান, দুষ্কৃতী তাঁর কাছ থেকে এক কোটি টাকা চেয়েছিল।
গভীর রাতে দুষ্কৃতীর আক্রমণে বড় ধরনের শারীরিক দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গিয়েছেন সইফ। জানা গিয়েছে, মেরুদণ্ডের নিচে ছুরির একটি অংশ গেঁথে গিয়েছিল। ঘটনার পরপরই সইফকে মুম্বইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জটিল অস্ত্রোপচারের পর বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান। অন্যদিকে, মুম্বই পুলিশ এই ঘটনায় অভিযুক্ত দুষ্কৃতী শরিফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে। সইফের বাড়ি থেকে পাওয়া ফিঙ্গারপ্রিন্টের নমুনা থেকে পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, হামলাকারী শরিফুলই।
