আজকাল ওয়েবডেস্ক: পুনেতে প্রকাশ্য দিবালোকে এ কী কাণ্ড? মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী রইলো শহরবাসী। খবর সূত্রে জানা গিয়েছে, পুনের একটি আবাসিকে এক মহিলার কাছ থেকে লুট করার চেষ্টা করা হয়েছে৷ ঘটনাটি দিনের বেলাতেই ঘটেছে। এক আবাসিক ভবনের ভিতরে গিয়ে ওই মহিলাকে লুট করা হয়েছে বলে জানা যায়।আবাসিকের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, এক মুখোশ পরা ব্যক্তি প্রথমে আবাসিকের ভেতর প্রবেশ করে। এরপর সে লিফটের কাছাকাছি গিয়ে মহিলাকে লুট করে। ফুটেজে সময় অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছে ৩ অগাস্ট সকাল আনুমানিক ১০ টার দিকে।
ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, প্রথমে মুখোশধারী ওই ব্যক্তি মহিলাকে কিছু একটা জিজ্ঞাসা করছে। মহিলা তাকে উত্তর দেওয়ার সময়, সে হঠাৎ করে মহিলার গলা চেপে ধরে। এরপর তাঁর গলার চেন ছিনিয়ে নেয়। ঘটনার পর পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়৷ বর্তমানে পুলিশ পুরো ঘটনার তদন্ত করছে। তারা জানিয়েছে, তদন্ত শেষ হলে এ ঘটনার প্রেক্ষিতে আরও বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে।
অন্যদিকে, দিল্লিতে রবিবার আরও একটি লুটের ঘটনা ঘটেছে। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর-পূর্ব দিল্লির চান্দবাগ এলাকায় লুটের ঘটনাটি ঘটে৷ একটি গহনার দোকানে চার থেকে পাঁচজন অস্ত্রধারী দুষ্কৃতি ঢুকে দোকানের মালিক এবং উপস্থিত ক্রেতাদের জোরজবরদস্তি করে তাঁদের টাকা এবং গহনা লুট করেছে।
এই ঘটনা ঘটে চান্দবাগের গলি নম্বর ৪-এ অবস্থিত এক গহনার দোকানে। দোকানটি দয়ালপুর থানার অধীনে পড়ে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খবর পাওয়ার পরপরই একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়।
অভিযোগকারী সাদিক (২৭) পুলিশকে জানান, তিনি এক ক্রেতাকে গহনা দেখানোর সময় চার থেকে পাঁচ জন দুষ্কৃতকারী আচমকা দোকানে ঢুকে শাটার ভেতর থেকে টেনে নামিয়ে দেয়। এরপর তারা আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে দোকানের কর্মী এবং ক্রেতাদের জোরাজুরি শুরু করে। একইসঙ্গে দোকান ও ক্রেতাদের কাছ থেকে গহনা ও টাকা লুট করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
সম্প্রতি এই ঘটনার পর সিনিয়র পুলিশ অফিসাররা, অপরাধ তদন্ত দল ও ফরেনসিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তারা প্রমাণ সংগ্রহ করেছে। পাশপাশি এলাকার সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দয়ালপুর থানায় প্রাসঙ্গিক ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের জন্য একাধিক দল কাজ করছে বলে বর্তমানে এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান।
প্রসঙ্গত,অদ্ভুত ঘটনা ঘটল কানপুরের মরিয়মপুর রেললাইনের কাছে নাজিরাবাদ থানা এলাকায়। পাশাপাশি দুই ভাইয়ের বাড়ি। বিনোদ কুমার এবং অনিল কুমার। পেশায় তাঁরা ই-রিকশা চালক। রাতে চোর হানা দিয়েছিলেন এই দুই ভাইয়ের বাড়িতে।
মদ্যপ অবস্থায় চোর প্রথমে গভীর রাতে বিনোদের বাড়িতে ঢুকে আলমারির তালা ভেঙে মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে। তারপর সে পাশের অনিলের বাড়িতে ঢুকে আবার আলমারি ভেঙে গয়না ও নগদ টাকা চুরি করে।
পর পর দু'টি বাড়ি থেকে চুরি করার পর চোরটি ক্লান্ত হয়ে পড়েন। শেষে চোর অনিলের বাড়ির ভিতরে একটি বিছানায় শুয়ে পড়ে এবং ঘুমিয়ে পড়ে।
পরদিন ভোরে, ই-রিকশা চালক অনিল কুমার ঘুম থেকে উঠে তাঁর বাড়িতে একজন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে ঘুমন্ত অবস্থায় দেখে হতবাক হয়ে যান। ভয় পেয়ে তিনি ঘর পরীক্ষা করেন। দেখেন, ঘরের আলমারি ভাঙা এবং সেখানে মূল্যবান জিনিসপত্র গায়েব।
তখন অনিল ঘুমন্ত চোরের ব্যাগপত্র তল্লাশি করেন। হদিশ পান চুরি যাওয়া গয়না এবং নগদ টাকার। হট্টগোল শুনে অনিলের স্ত্রী বাবলিও জেগে ওঠেন এবং চোরের কাছে তাঁর হারিয়ে যাওয়া গয়না দেখতে পান। এরপর তাঁরা চিৎকার জুড়ে দেন। ছুটে আসেন ক্ষুব্ধ প্রতিবেশীরা। চোরকে মারধর শুরু হয়। তারপর তাকে নাজিরাবাদ পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ চোরকে গ্রেপ্তার করেছে। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আপাতত ক্লান্ত চোর শ্রীঘরে।
দিন কয়েক আগেই ত্রিপুরাতে প্রায় একই ঘটনা ঘটেছিল। চুরি করতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিল চোর। চোরের এই আজব ঘুম দেখে চোখ কপালে ওঠে বাড়ির লোকেদের। ডাকাডাকিতেও না ওঠায় ডাকা হল পুলিশকে, কিন্তু চোরের ঘুম ভাঙাতে পুলিশেরও কালঘাম ছুটল। এক বালতি জল ঢেলে চোরের ঘুম ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে হল থানায়। এই আজব ঘটনাটি ঘটেছিল ত্রিপুরার উত্তর জেলার ধর্মনগর থানার অন্তর্গত জেল রোডের সৎসঙ্গ লেনে।
ওই এলাকার রাজশ্রী নাথের বাড়িতে এক ভাড়াটিয়া মহিলা ঘুম থেকে উঠে দেখতে পান এক চোর বাথরুমে দিব্যি ঘুমাচ্ছে। তখন তার চিৎকারে ছুটে আসেন পরিবারের অনান্য লোকজন সহ আশপাশের মানুষ। সকলেই ওই চোরকে ডাকাডাকি করলেও সে দিব্যি ঘুমিয়ে যাচ্ছিল। পরে ধর্মনগর থানায় পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। ধর্মনগর থানার ওসি স্মৃতিকান্ত বর্ধন জানান ধৃতের নাম অখিলেশ রাই। বাড়ি বিহারের পাটনা বলে জানিয়েছে। ধৃতের কাছ থেকে গাজা উদ্ধার হয়েছে বলেও জানানো হয়। সত্যিই কি চুরির উদ্যেশ্যে সেই বাড়িতে ঢুকেছিল? নাকি অন্য কোনও উদ্দেশ্য রয়েছে তা তদন্ত করছে পুলিশ।
