আজকাল ওয়েবডেস্ক: ‘স্নিকোমিটার’ বিতর্ক যেন অ্যাডিলেড টেস্টের পিছু ছাড়ছে না। প্রথমদিন অজি ব্যাটার অ্যালেক্স ক্যারির পর দ্বিতীয় দিন ইংরেজ উইকেটরক্ষক ব্যাটার জেমি স্মিথের আউটকে কেন্দ্র করে তৈরি হল বিতর্ক। দুটি ক্ষেত্রেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আবেদন যাওয়ায় রীতিমতো বিরক্ত বেন স্টোকস।
প্যাট কামিন্সের একটি ওভারে ওই ঘটনাটি ঘটে। তিনি বল করেছিলেন জেমি স্মিথকে। স্মিথ পুল শট খেলতে গিয়েছিলেন। বল যায় উইকেটকিপার অ্যালেক্স ক্যারির হাতে। আম্পায়ার নীতীন মেনন তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে জানতে চান, ক্যারির ক্যাচটি বৈধ কি না। রিপ্লে–তে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে, ব্যাট এবং বলের মধ্যে দূরত্ব রয়েছে। তবে স্নিকোমিটারে দেখা যায়, স্মিথের ব্যাটের পাশ দিয়ে বল যাওয়ার সময় রেখচিত্রে কম্পন ধরা পড়ছে। নিয়ম মেনে তৃতীয় আম্পায়ার ক্রিস গাফানির আউট দেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না। স্মিথ আউট হতেই রাগে ফেটে পড়েন স্টোকস। মাঠেই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেন তিনি। বিরক্তিতে মাথা নাড়তে নাড়তে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান স্মিথ।
ধারাভাষ্যকাররা বিষয়টি ঠিক বুঝতে পারেননি বলে জানিয়েছেন। এদিকে, খুশি নন অস্ট্রেলিয়ার বোলার মিচেল স্টার্কও। স্টাম্প মাইকে ধরা পড়েছে তাঁর বিরক্তি।
এর আগে অ্যাশেজের তৃতীয় টেস্টের প্রথম দিন শতরান করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যালেক্স ক্যারি। তবে তাঁর ইনিংসে তৃতীয় আম্পায়ারের একটি সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। সেই নিয়ে হস্তক্ষেপও করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা (আইসিসি)। ইংল্যান্ডের যে রিভিউ নষ্ট হয়েছিল তা ফিরিয়ে দিল তারা। ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে প্রযুক্তির নির্মাতা সংস্থাও।
প্রথম দিনের খেলা শেষের পর ইংল্যান্ডের কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালাম এবং ম্যানেজার ওয়েন বেন্টলি কথা বলেন ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রো–র সঙ্গে। আইসিসি–কেও অনুরোধ করেন প্রযুক্তি খুঁটিয়ে দেখতে। সেই আবেদনে সাড়া দেয় আইসিসি। প্রযুক্তি নির্মাতারা ক্ষমা চাওয়ার পর ইংল্যান্ডকে ওই রিভিউ ফিরিয়ে দিয়েছে আইসিসি। ক্যারি শতরান করে অস্ট্রেলিয়াকে ভাল জায়গায় পৌঁছে দেন।
এদিকে, দ্বিতীয় দিনে দু’টি নজির তৈরি হয়েছে। অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়া দলে ফিরেছেন কামিন্স। তিনি আবার আউট করেছেন ইংল্যান্ডের জো রুটকে। এই নিয়ে টেস্টে ১২ বার রুটকে আউট করলেন কামিন্স। টপকে গেলেন জসপ্রীত বুমরাকে। এদিকে, টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ উইকেটশিকারিদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন নাথান লায়ন। টেস্টে ৫৬৪টি উইকেট হল লায়নের। অলি পোপকে আউট করে ৫৬৩তম উইকেট নিয়ে গ্লেন ম্যাকগ্রাথকে ছুঁয়ে ফেলেন। এর পর বেন ডাকেটকে আউট করে ম্যাকগ্রাথকে টপকে যান। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেট শেন ওয়ার্নের (৭০৮)।
এদিকে, আর্চারের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়তেও দেখা যায় মিচেল স্টার্ককে। যদিও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।
