আজকাল ওয়েবডেস্ক: একের পর এক বৈঠক। জরুরি বৈঠক, রুদ্ধদ্বার বৈঠক। এক একটি বৈঠকে বড় সিদ্ধান্ত গৃহীত হচ্ছে প্রায় প্রতিদিন। পহেলগাঁও আবহে এবার প্রায় সাত বছর পর মোদি সরকার পুনর্গঠন করছে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদের। মাথায় বসছেন ‘র’-এর প্রাক্তন ডিরেক্টর।
সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর তেমনটাই। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদের সদস্য সংখ্যা সাত. সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, সাত সদস্যের ওই দলে রয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা আধিকারিক, আইপিএস। পর্ষদে থাকছেন, প্রাক্তন ওয়েস্টার্ন এয়ার কমান্ডার এয়ার মার্শাল পিএম সিনহা, প্রাক্তন সাউদার্ন আর্মি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এ কে সিং এবং সামরিক পরিষেবার রিয়ার অ্যাডমিরাল মন্টি খান্না। এছাড়াও রাজীবরঞ্জন বর্মা এবং মনমোহন সিংহ, অবসরপ্রাপ্ত দুই আইপিএস অফিসার থাকছেন এই তালিকায়।
উপদেষ্টা পর্ষদের দায়িত্বে থাকছেন ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা ‘র’-এর প্রাক্তন ডিরেক্টর অলোক জোশী। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পহেলগাঁও আবহে একেবারে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছে মোদি সরকার। মঙ্গলবারের মোদি-মিটিং-এর পর থেকেই, প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই, তাহলে কি এবার যুদ্ধ নিশ্চিত? মঙ্গলবার নিজের বাসভবনে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা প্রধান এবং তিন সেনা প্রধানকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন তিনি। সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, কখন, কীভাবে সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে হামলা, তা ঠিক করতে সেনাকে খোলা হাত দিয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী।
সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, বৈঠকে দেশের প্রধানমন্ত্রী মোদি সাফ জানিয়েছেন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আঘাত করা দেশের জাতীয় সংকল্প। সন্ত্রাসবাদ নির্মূলের প্রতিক্রিয়ার ধরণ, লক্ষ্য, সময় নির্ধারণ, অর্থাৎ কখন, কবে, কোথায়, কীভাবে আঘাত হবে, সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্পূর্ণ কার্যকরী স্বাধীনতা রয়েছে সেনাবাহিনীর। সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর পেশাদার দক্ষতার প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস প্রকাশ করেছেন। ঠিক তার পরেই দিনেই প্রকাশ্যে এল জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদ ঢেলে সাজানোর বিষয়টি।
