আজকাল ওয়েবডেস্ক: দীর্ঘদিনের অপেক্ষার পর অবশেষে জাতীয় জনশুমারি এবং জাতপাতভিত্তিক গণনার প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে ২০২৭ সালের ১লা মার্চ থেকে, এমনটাই জানিয়েছেন সরকারি সূত্র। জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ ও উত্তরাখণ্ডে এই প্রক্রিয়া শুরু হবে আগেই—২০২৬ সালের অক্টোবর মাস থেকে।

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, “মন্ত্রিসভার রাজনৈতিক বিষয়ক কমিটি জাতপাতের শুমারিকে পরবর্তী জনশুমারিতে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” বিরোধী জোট, কংগ্রেস এবং বিভিন্ন আঞ্চলিক দল বহুদিন ধরেই জাতপাতভিত্তিক শুমারির দাবি জানিয়ে আসছিল। কর্ণাটকে ইতিমধ্যেই এমন একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছে, যদিও তা কিছু সম্প্রদায়ের মধ্যে অসন্তোষের জন্ম দেয়।

২০২১ সালে হওয়ার কথা ছিল এই শুমারি, কিন্তু কোভিড-১৯ অতিমারির কারণে তা পিছিয়ে যায়। এবার এই শুমারির মাধ্যমে জাতীয় জনসংখ্যা রেজিস্টার (এনপিআর)-ও হবে।

শুমারির পরই শুরু হবে আসন পুনর্বিন্যাস বা ‘ডিলিমিটেশন’ প্রক্রিয়া, যা সংসদ ও বিধানসভা নির্বাচনী ক্ষেত্রগুলির সীমানা এবং আসন সংখ্যা নির্ধারণ করে। ১৯৭৬ সাল থেকে এই প্রক্রিয়া স্থগিত ছিল, যাতে দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলি যারা জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সফল হয়েছে, তারা অসুবিধায় না পড়ে।

২০২৬ সালে এই স্থগিতাদেশের মেয়াদ শেষ হবে। এরপর ২০২৭ সালের শুমারির ভিত্তিতে আসন পুনর্বিন্যাস হলে, উত্তর ভারতের জনবহুল রাজ্যগুলি (যেমন উত্তরপ্রদেশ, বিহার) অতিরিক্ত আসন পেতে পারে—সম্ভাব্য ৩১টি—যেখানে দক্ষিণের রাজ্যগুলি ২৬টি আসন হারাতে পারে।

নতুন সংসদ ভবনে ৮৮৮ জন সাংসদের বসার জায়গা থাকায় অনুমান করা হচ্ছে, লোকসভায় আসন বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তবে এর জন্য সাংবিধানিক সংশোধন আবশ্যক, কারণ বর্তমানে সর্বোচ্চ আসন সংখ্যা ৫৫০।

অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ দক্ষিণের রাজ্যগুলি দাবি করছে, প্রতিনিধিত্ব নির্ধারণে জনসংখ্যার পাশাপাশি অর্থনৈতিক অবদানও বিবেচনায় নেওয়া উচিত।