আজকাল ওয়েবডেস্ক: জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মপরিষদের বৈঠকে বড় সিদ্ধান্ত হয়ে গেল। এবার থেকে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য পদের নাম হল 'কুলগুরু' (যার অর্থ শিক্ষক)। এর আগে স্থির হয়েছিল যে, উপাচার্য পদের নামকরণ হবে হিন্দি শব্দ 'কুলপতি' (যার অর্থ একটি বংশ বা প্রতিষ্ঠানের প্রধান)। কিন্তু, ওই পদ লিঙ্গ-নিরপেক্ষ করতেই 'কুলপতি' রাখার সিদ্ধান্ত হয়। এটি ভারতের প্রাচীন শিক্ষা ঐতিহ্যের প্রতিও একটি ইঙ্গিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মপরিষদের বৈঠকে এই নামকরণের প্রস্তাব দিয়েছিলেন উপাচার্য শান্তিশ্রী ধুলিপুদি পণ্ডিত।
এখন থেকে ডিগ্রি এবং অন্যান্য শিক্ষাগত নথিতে 'কুলপতি' এর পরিবর্তে 'কুলগুরু' ব্যবহার করা হবে।
এই পরিবর্তনটি দীর্ঘদিন ধরেই বিবেচনাস্তরে ছিল। ২০২২ সালে, জেএনইউ উপাচার্য শান্তিশ্রী ধুলিপুদি পণ্ডিত সরকারি নামকরণে লিঙ্গ-নিরপেক্ষ শব্দ ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দিয়েছিলেন। তিনি ১৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাহী পরিষদের সভায় প্রস্তাবটি উপস্থাপনের কথা বলেছিলেন এবং 'কুলপতি'-এর পরিবর্তে 'কুলগুরু" শব্দের ব্যবহারকেজনসমক্ষে সমর্থন জানিয়েছিলেন।
শুধু জেএনইউ-ই নয়, চলচি বছরের শুরুতে, রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয় আইন (সংশোধন) বিল, ২০২৫ চালু হয়। যার মাধ্যমে প্রতিটি রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে 'কুলপতি' এবং 'প্রতিকুলপতি'-এর পরিবর্তে 'কুলগুরু' এবং 'প্রতিকুলগুরু' ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়। ২০২৫ সালের মার্চ মাসে অনুমোদিত এই বিলটি শিক্ষাক্ষেত্রে বংশগত ভারতীয় মূল্যবোধের দিকে ফিরে যাওয়ার পদক্ষেপ হিসেবে নামকরণকে ব্যাখ্যা করে।
মধ্যপ্রদেশও অতীতে তাই করেছিল। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে, রাজ্য মন্ত্রিসভা উপাচার্যদের আনুষ্ঠানিকভাবে 'কুলগুরু' উপাধি প্রদানের প্রস্তাব অনুমোদন করে। রাজ্য সরকার বর্ণনা করেছে যে, কীভাবে এই শব্দবন্ধটি শ্রদ্ধা, বন্ধন এবং সাংস্কৃতিক পরিচয়কে আরও প্রগাঢ় করতে সাহায্য করে। এই ধারণা মন্ত্রিসভার বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে সম্মতি পায়।
