আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিএলও-দের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করল নির্বাচন কমিশন। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে ২১ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা হল এফআইআর। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ২১ জন বিএলও কাজ করতে চাইছিলেন না। সেই কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। 

ঘটনা উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের সাহিবাবাদ বিধানসভা কেন্দ্রের। সেখানকার নির্বাচনী ইনচার্জ অলোক কুমার যাদব জানিয়েছেন, বারবার ফোন করা সত্ত্বেও রিসিভ করেননি সংশ্লিষ্ট বিএলও-রা। জবাব দেয়নি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজেরও। ফলে ওইসব বিএলও-রা সরকারি নির্দেশিকা উপেক্ষা করেছেন। তাঁদের একাধিকবার সতর্ক করা হলেও কর্ণপাত করেননি। তারপরই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। 

এফআইআর-এ উল্লেখ, ওই বিএলও-রা ঘরে ঘরে ভোটার ফর্ম বিতরণ, স্বাক্ষর সংগ্রহ বা ডিজিটালাইজড করার মতো কাজগুলো করেননি। বিষয়টি জানতে, তাঁদের বলা হয়েছিল। তারপরও তাঁরা কাজে করেননি। ক্রমাগত এই অমান্যের কারণে প্রশাসন কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। গাজিয়াবাদের সিহানি গেট থানায় ২১ জন অবাধ্য বিএলও-র বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।  

সরকারি আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে, সরকারি কর্তৃব্যে অবহেলা জনপ্রতিনিধিত্ব আইন, ১৯৫০ এর ৩২ ধারার লঙ্ঘনের সমান। দোষ প্রমাণিত হলে তিন মাস থেকে দুই বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।

কয়েকদিন আগেই নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল যে, বিএলও-রাই নির্বাচন কমিশনের মুখ। তাঁরাই আসল হিরো। তাঁদের জন্যই এসআইআর কাজ সম্পন্ন হচ্ছে। তবে অবাধ্য বিএলও-দের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের মাধ্যমে, কর্তৃপক্ষ এসআইআর-এর কাজের সময় কঠোর প্রশাসনিক পদ্ধতি গ্রহণের ইঙ্গিত দিল।

তবে দেশের নানা প্রান্তে বিএলও-দের অভিযোগ, এসআইআর-এর কাজ করতে গিয়ে তাদের হয়রানির শিকার হচে হচ্ছে। অতিরিক্ত কাজের চাপে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েচেন। এমনকী মৃত্যুর ঘটনা পর্যন্ত ঘটেছে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছিলেন বিষয়টি তাঁর অজানা নয়। 

বিহারের পর, বাংলা-সহ ১২টি রাজ্যে এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।