অপেক্ষা আর মাত্র একদিন। আগামী ২৮ নভেম্বর প্রেক্ষাগৃহে আসছে ‘হাঁটি হাঁটি পা পা’। ছবির সাফল্যের কামনায় মঙ্গলবার দীঘার জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দিতে হাজির হয়েছিলেন রুক্মিণী মৈত্র। সঙ্গে ছবির টিম। মহাপ্রভুর দরবারে প্রার্থনা করে আশীর্বাদ নিলেন তাঁরা।
বাবা-মেয়ের গল্প বলবে অর্ণব মিদ্যার ‘হাঁটি হাঁটি পা পা।’ বাবার চরিত্রে চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী। মেয়ের চরিত্রে রুক্মিণী। ছবিতে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যাবে অঞ্জনা বসু, তুলিকা বসু, বিশ্বরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সন্দীপ ভট্টাচার্য প্রমুখ। বড়পর্দায় এই ছবি মুক্তি পাওয়ার আগেই গোয়ায় ৫৬তম ভারতের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয় ‘হাঁটি হাঁটি পা পা’।
বুধবার ঘিয়ে রঙা শাড়িতে সেজে উঠেছিলেন রুক্মিণী মৈত্র। কপালে উজ্জ্বল লাল টিপ, খোলা চুলে হালকা ঢেউ, কানে মানানসই দুল—সব মিলিয়ে তাঁর সাজে ছিল একাধারে সৌন্দর্য, সরলতা এবং আভিজাত্যের ছোঁয়া। মন্দির প্রাঙ্গণে পা রেখেই যেন আরও শান্ত, আরও স্থির হয়ে উঠলেন তিনি।
হাঁটু মুড়ে বসে, চোখ দু’টি আস্তে বন্ধ করে, করজোড়ে মহাপ্রভুর আরাধনায় নিমগ্ন হন রুক্মিণী। মুখে সেই চেনা প্রশান্ত হাসি—যেন অন্তর থেকে উঠে আসা কৃতজ্ঞতা এবং প্রার্থনার প্রতিফলন। উপস্থিত ভক্ত এবং দর্শকদের নজরও স্বভাবতই গিয়ে পড়ে তাঁর এই ভক্তিময় মুহূর্তে।
‘হাঁটি হাঁটি পা পা’ মূলত এক চিরন্তন ভালবাসার গল্প—তবে সে ভালবাসা রোমান্টিক যুগল বা নারী-পুরুষের প্রেম নয়। বরং ছবিটি কথা বলে এমন এক অনুভূতির, যা প্রেমের সীমানা ছাড়িয়ে অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত। যেখানে আছে গভীর আত্মিক বন্ধন, দায়িত্ববোধ, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং নিঃশর্ত স্নেহ।
গত বছর ছবি প্রসঙ্গে রুক্মিণী বলেছিলেন, “‘হাঁটি হাঁটি পা পা’-র গল্প যখন শুনি তখন কেন জানি না গল্পটা আমাকে ভীষণ ভাবে ছুঁয়ে যায়। তারপর চিত্রনাট্য, সংলাপ নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা, কাটাছেঁড়ার পরে আজ আমার সত্যিই খুব ভাল লাগছে যে দর্শকের আমরা এরকম একটা ছবি উপহার দিতে চলেছি। তা ছাড়া অর্ণবের সাথে কথা বলে খুব ভাল লেগেছে। সংবেদনশীল মানুষ আর আমাদের গল্পটা যেহেতু সম্পর্কের গল্প, আমার বিশ্বাস ছবিটা ও খুব ভাল বানাবে।” এবার সেই ছবিরই প্রেক্ষাগৃহে আসার পালা।
কয়েক দিন আগেই ছবির প্রচারের জন্য অভিনব একটা পদক্ষেপ করেন নির্মাতারা। দেখা যায়, রাস্তায় দেওয়ালে রুক্মিণীর জন্য পাত্র খুঁজতে পোস্টার লাগাচ্ছেন চিরঞ্জিৎ। সেই বিজ্ঞাপনে লেখা হয়েছে, ‘পাত্র চাই, পঃ বঃ ব্রাহ্মণ ২৭/ ৫'১০। ফর্সা, স্লিম, সুদর্শনা, চাকুরীজীবী পাত্রীর জন্য অবিলম্বে উপযুক্ত কলকাতা নিবাসী শিক্ষিত প্রতিষ্ঠিত সুপাত্র চাই।’ একই সঙ্গে। এই বিজ্ঞাপনে লেখা হয়েছে, ‘কারও সন্ধানে থাকলে সত্বর যোগাযোগ করুন।’ সঙ্গে দেওয়া রয়েছে একটি নম্বর এবং রুক্মিণীর ছবি।
