আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতে ২০২১ সালের জনগণনা এখনও হয়নি, ফলে প্রায় ১২ কোটিরও বেশি মানুষ সরকারি রেশন ব্যবস্থার বাইরে রয়ে গেছেন বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন অনুযায়ী দেশের প্রায় ৮০.৬ কোটি মানুষকে রেশন দেওয়া হচ্ছে, যা সরকার নিজেই অনুমান করেছিল তার চেয়েও ৮.১ মিলিয়ন কম। কারণ হিসেবে সরকার জানিয়েছে, নতুন আদমশুমারির আগে এই সংখ্যার রদবদল করা সম্ভব নয়।
এর ফলে বহু দরিদ্র পরিবার খাদ্য ও পুষ্টির অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। গবেষণা অনুযায়ী, এনএফএসএ বাস্তবায়নের ফলে প্রায় ১৮ লক্ষ শিশু খর্বাকৃতি হওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছে।
বিশেষজ্ঞ দীপা সিনহা বলেন, “অনেকেই রেশন কার্ড পান না অথবা পরিবারের নতুন সদস্যদের নাম কার্ডে যুক্ত করা হয়নি। সরকার এখনও ২০১১ সালের আদমশুমারির তথ্য ব্যবহার করছে, যা বর্তমানের বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে।”
অর্থনীতিবিদ জঁ দ্রেজ বলেন, “খাদ্যসুরক্ষা নিশ্চিত করতে শুধু রেশন যথেষ্ট নয়, দরকার স্বাস্থ্য, জল, পরিচ্ছন্নতা ও নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করার ব্যবস্থা।” ভারতের গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্সে র্যাঙ্ক ২০২৪ সালে ছিল ১২৭ দেশের মধ্যে ১০৫তম, যা এখনও চিন্তার বিষয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, আদমশুমারির দেরি হওয়া খাদ্য নিরাপত্তা, শিশুদের স্বাস্থ্য এবং দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
